আন্তর্জাতিক ১২ মে, ২০২৪ ০৩:৪৫

আগামীকালই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হামাসকে যে শর্ত দিলেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কালই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এ লক্ষ্যে তিনি শর্তের বোঝা চাপিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ওপরই। বাইডেন বলেছেন, হামাস তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দিলে আগামীকালই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে এক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি যেমনটা বলেছি, এটি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে। তাঁরা যদি এটা (যুদ্ধবিরতি) বাস্তবায়ন করতে চায়, তাঁরা এটা (জিম্মিদের মুক্তি দিয়ে) আগামীকালই শেষ করতে পারে। এমনটা করলে আগামীকালই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়ে যেতে পারে।’ 

এদিকে, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি পাঁচজন মার্কিন নাগরিকের পরিবার গত শুক্রবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয়কারী ব্রেট ম্যাকগার্কের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিবারগুলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় আবারও স্থবিরতায় তাঁরা হতাশ। বিশেষ করে, জিম্মিদের নিয়ে প্রকাশ করা হামাসের সাম্প্রতিক ভিডিওগুলোতে জিম্মিদের চলৎশক্তিহীন, পাতলা, ফ্যাকাশে ও হতাশাগ্রস্ত দেখা যাওয়ার পর এই হতাশা আরও বেড়ে গেছে। 

হামাস বলেছে, কায়রোতে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীদের পেশ করা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল জিম্মি মুক্তির আলোচনাকে ‘এক অন্ধকার কানাগলিতে’ ফেরত পাঠিয়েছে। হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুই যুদ্ধবিরতি আলোচনার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছেন। হামাস বলছে, যাতে নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহে হামলা চালানোর বিষয়টি আড়াল করতে আলোচনাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল বারবার বলেছে—হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে না। এমনকি সমস্ত জিম্মি মুক্তি পেলেও হামাস নির্মূল হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘হামাসের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি ইসরায়েলের মূল দাবি থেকে অনেক দূরে।’

আমাদের কাগজ/টিআর