চাকুরীর খবর ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০৭:৫২

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে আবেদন কার্যক্রম। আবেদন শেষে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে শূন্য আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রার্থীদের বয়স ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩২ বছর।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-সহ স্নাতক বা সম্মান বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।

আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। আগামীকাল চারটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে। ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, এবারের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারাদেশে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

ডিপিই’র সহকারী পরিচালক আতিক বিন সাত্তার আজ শনিবার গণমাধ্যকে বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। আবেদন শেষে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে (জুন মাসের মধ্যে) নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করা হবে। এরপর ফলাফল প্রকাশের কাজ শুরু করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আবেদনকারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে কত ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আবেদনকারীর সংখ্যা কম হলে অল্পসময়ে নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হবে। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে লিখিত পরীক্ষা শেষ করতে বেশি সময় লাগবে। তবে মোট শূন্য পদের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।’