জাতীয় ২৭ অক্টোবর, ২০২০ ০৫:৩৪

প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদেশ ১২ নভেম্বর 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে আদালতে ২৭ অক্টোবর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। ওইদিন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জন আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আটজন আসামির পক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। তবে দুই আসামি সুজন ও কামরুল হাওলাদারের পক্ষে অব্যাহতির জন্য আবেদন করা হয়নি। অন্যদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।

এদিকে, গত ১ অক্টোবর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম মামলাটি মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর প্রেরনের আদেশ দেন। সিএমএম পরবর্তী বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যায়  নাইমুল আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎসংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৪টা ৫১ মিনিটে। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায় কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায়। এটি পরিকল্পিত এবং গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।

পরে আদালত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা তদন্ত করতে মোহাম্মদপু থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। ১০ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে জামিন নেন।

গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন মুজিবুর রহমান।