জাতীয় ১ নভেম্বর, ২০২০ ০৩:০৮

মা ইলিশ সংরক্ষণ

২১৪ কোটি টাকার জাল জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক           

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ দিনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে হাজার ৫৪৯ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে একই সময়ে ২১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার কারেন্ট অন্যান্য অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে

গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) পর্যন্ত মৎস্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষেরমা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০এর প্রতিবেদন থেকে সব তথ্য জানা গেছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ১৪ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগে মোট হাজার ১৩৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে সময়ে ৩৯ টন ইলিশ এবং টন অন্যান্য মাছ আটক করা হয়েছে

মোট হাজার ৪৪৬টি মামলা করা হয়েছে ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে হাজার ৫৪৯ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে

এতে আরও বলা হয়, ২১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকার কারেন্ট অন্যান্য জাল জব্দ করা হয়েছে নৌকা জাল নিলামের মাধ্যমে আয় হয়েছে ১৮ লাখ টাকা

১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুন হবে

নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ৎ, হাট-বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে প্রশাসন, পুলিশ, ্যাব, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধন তদারকির জন্য মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের টিম কাজ করছে

অপরদিকে ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলায় প্রশাসন এবং জেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে কি না হাট-বাজারে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় কিংবা মজুৎ পরিবহন হচ্ছে কি না এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় বরফকল বন্ধ আছে কি না, সে ব্যাপারে অভিযানিক এলাকা পরিদর্শন তদারকির জন্য মন্ত্রণালয়ের ২২ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে

অন্যদিকে ঢাকা মহানগরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ৎ, বাজার, সুপারশপ ইলিশ মাছ প্রাপ্তির সম্ভাব্য স্থানে দৈনিক নজরদারি অভিযান পরিচালনা এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য মৎস্য অধিদফতর গঠিত ৮টি মহানগর মনিটরিং টিম কাজ করছে

এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান মোবাইল কোর্ট এবং ভিজিএফ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ তদারকিসহ প্রতিদিন মৎস্য অধিদফতরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা রাজশাহী বিভাগে মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ৫টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম কাজ করছে

বিভাগীয় মনিটরিং টিম, জেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত অভিযান মোবাইল কোর্ট এবং জেলেদের ভিজিএফ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদফতর গঠিত ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটি কাজ করছে