জাতীয় ৫ নভেম্বর, ২০২০ ০২:১২

বিশ্ব নগর দিবস

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিদেবদক

ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সকল সংস্থার মাস্টারপ্ল্যান সমন্বয় করে ইন্টিগ্রেটেড মাস্টারপ্লান ফর ঢাকা সিটি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ঘোষিত বিশ্ব নগর দিবস উপলক্ষে আজ দুপুরে নগর ভবন হতে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর ঢাকা কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত কারিগরি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংস্থা তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। কিন্তু সেগুলো প্রকল্প কেন্দ্রিক। আমরা কোনটাই বাদ দিচ্ছি না। আমরা সবগুলোকে (সকল সংস্থার মাস্টারপ্ল্যানকে) সমন্বয় করে একটা "ইন্টিগ্রেটেড মাস্টারপ্লান ফর ঢাকা সিটি" প্রণয়ন করতে যাচ্ছি।  সেটার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেবাগুলো যেমনি নিশ্চিত করব তেমনি একটি আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।

এ সময় তিনি স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ এ বর্ণিত কর্পোরেশনের কার্যাবলী উল্লেখ করে বলেন, নগরের জনসাস্থ্য থেকে সরকারি সকল জলাধার নিয়ন্ত্রণ-পরিচালনা, বাজার নিয়ন্ত্রণ-পরিচালনা, বেওয়ারিশ ও গবাদি পশু নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থাপনা, ইমারত নির্মাণ-নিয়ন্ত্রণ, ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, রাস্তার বাতি থেকে যানবাহন, অগ্নি নির্বাপণ, জননিরাপত্তা, বেসামরিক প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পার্ক, উদ্যান, খোলা জায়গা, নিম্নাঞ্চল এমনকি নগরীর উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন সহ সব কিছুই সিটি কর্পোরেশনের কার্যাবলীর আওতায় পড়ে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, একটি নগরের সকল কার্যক্রমকে একটি সমন্বিত জায়গায় আমরা আজ অবধি আনতে পারি নাই। সবকিছুই হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্প কেন্দ্রিক, বিভিন্ন সংস্থা কেন্দ্রিক। খণ্ড খণ্ড করে করা হচ্ছে। সেভাবে করতে গেলে আমরা কোনদিনও আশু লক্ষে পৌঁছাতে পারব না। একটি জায়গায় আমাদেরকে আগে আসতে হবেকারা মূল দায়িত্ব পালন করবে আর তার সাথে অন্যরা কিভাবে সমন্বয় করবে। এটা না করা পর্যন্ত আমরা ঢাকা শহরকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনদিনও অগ্রগতি সাধন করতে পারব না।

এমআরটি (মাস রেপিড ট্রানজিট) বাস্তবায়নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এমআরটির মাধ্যমে আমরা একটি আধুনিক নগরীর পর্যায়ে চলে যাব।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে জনসংখ্যার যে চাপ, তা আমরা কিভাবে বিন্যাস করব, নিয়ন্ত্রণ করব, সে বিষয়টা এখনো কেউ ভাবছে না। সে জায়গাটাও আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে।

আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সবুর এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহাদৎ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক প্রকৌশলী একেএম সাইফুল ইসলাম এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নীলোপল অদ্রি।

নগর গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুহম্মদ আলমগীর অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।