অপরাধ ও দুর্নীতি ১১ নভেম্বর, ২০২০ ১০:১২

অনুমোদনহীন ছিল মাইন্ড এইড হাসপাতাল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের এসএসপি আনিসুল করিম শিপনকে হত্যার অভিযোগ উঠা আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অনুমোদনহীভাবে তারা কীভাবে হাসপাতাল চালাচ্ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, তারা কীভাবে এই হাসপাতাল চালাচ্ছিল, আমি শুনেছি আমি নিশ্চিত নই, এই হাসপাতালের অনুমোদন যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেয়নি। এসব কিছু তদন্তের পরেই আমরা কথা বলতে পারবো।

তিনি বলেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিপন আগে থেকেই একজন মানসিক রোগী ছিলেন। তা আমরা জানতে পেরেছি। তাই সব কিছু সঠিকভাবে জানার জন্য নিশ্চয়ই একটা তদন্ত হবে। সেই তদন্তের প্রতিবেদন আমাদের হাতে আসলে আমরা আরও অনেক কিছু জানতে পারবো। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য মানসিক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কোনো এক পর্যায়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

ভাইরাল হওয়া এএসপিকে মারধরের ভিডিও প্রসঙ্গে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা ভিডিওতে দেখলাম তাকে নিয়ে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। এর এক পর্যায়ে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিল নিহতের বাবা ফইজউদ্দিন আহমেদ আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ৮ জন ও হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নিয়ে তদন্তের পরে আরও যারা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হবে বলে আমরা মনে করছি তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।

সরকারি হাসপাতালগুলোর দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা শিপন একটি সরকারি হাসপালে ভর্তি হওয়ার পর সেখান থেকে দালালরা তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে যখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগ পাই তখনই আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী অ্যাকশানে যাচ্ছে। নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে যখনই খবর আসছে তখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর মাইন্ড এইড হাসপাতালের এই ঘটনাটা মাত্র তদন্ত শুরু হলো। তদন্তের পরে জানতে পারবো এর বেলায় কী হয়েছে।