খেলাধুলা ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০১:০৭

ক্রিকেটেও আসছে শেখ রাসেল

নিজস্ব প্রতিবেদ

সায়েম সোবহান আনভীর একটি স্বপ্নের নাম। দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ডেকে নিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সায়েম সোবহানকে। তাঁর হাত ধরেই পথ হারিয়ে ফেলা এ ক্লাব ফুটবলে আবারও হয়ে ওঠে পরাশক্তি। বদলে গেছে ক্লাবের পরিবেশ। হয়েছে নিজস্ব ভবন ও মাঠ।

ফুটবলের পাশাপাশি শেখ রাসেল পতাকা উড়িয়েছে টেবিল টেনিসে। ক্রিকেট নিয়েও স্বপ্নের কথা এর আগে জানিয়েছিলেন ক্লাব চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান। এবার ক্লাবের সাধারণ সভায় সরাসরি ঘোষণাই দিলেন ক্রিকেটে আসার। গত পরশু বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় সায়েম সোবহানের সভাপতিত্বে। সেখানেই তিনি ঘোষণা দেন ক্রিকেটে শক্তিশালী দল গঠন করার, ‘ফুটবল ও ক্রিকেট দেশের জনপ্রিয় খেলা। সাফল্য পেতে দলীয়ভাবে যেমন শক্তিশালী দল গঠন করা হবে, তেমনিভাবে এসব খেলা উন্নয়নের জন্য শেখ রাসেল কাজ করে যাবে। নির্বাচনের পরই ক্রিকেটে দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

ক্লাব চেয়ারম্যান এজিএমে উপস্থিত পরিচালক ও সদস্যদের তিনি আরো জানান, ‘ফুটবল ও ক্রিকেটে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকতে চাই। কী করলে ভালো হয়, তা আপনারা আমাকে জানাবেন।

সাফল্যের জন্য একতা দরকার। যত দিন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকব, তা অটল রাখব। সংগঠনে মতবিরোধ থাকবেই। কিন্তু শেখ রাসেলের ব্যাপারে আমরা এক ও অভিন্ন। মনে রাখবেন, খেলাধুলার উন্নয়নে শুধু ফেডারেশন নয়, ক্লাবগুলোর অনেক ভূমিকা আছে। যা আগেও আমরা করেছি, ভবিষ্যতেও করব। ক্রীড়াঙ্গনে শেখ রাসেল এক বড় শক্তি।’

২০১২-১৩ মৌসুমটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ইতিহাসে। ওই মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জেতে তারা। এরপর পথ হারিয়ে ফেলা দলটিকে সঠিক রাস্তায় ফেরান সায়েম সোবহান। ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রানার্স আপ হয় তারা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে তৃতীয় হলেও চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে ব্যবধান ছিল ১১ পয়েন্টের। এই ব্যবধান কমিয়ে শিরোপা জয়ের জন্য যা দরকার, সব করার নির্দেশনা দেন সায়েম সোবহান।

ক্লাবের সদস্যসচিব ইসমত জামিল আখন্দ লাভলু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভালো কিছু করার, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ডেকে সায়েম সোবহান ভাইকে শেখ রাসেলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান স্যার শত ব্যস্ততার মধ্যেও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শুধু দিয়েই যাচ্ছেন, আমরা তাঁকে কোনো ট্রফি উপহার দিতে পারিনি। তিনি যে ক্লাবকে কতটা ভালোবাসেন এর প্রমাণ ক্রিকেটে দল ঘোষণায়। আমাদের উচিত হবে দুটি খেলায়ই সাফল্য এনে দেওয়া।’ সভায় আরো বক্তব্য দেন ক্লাবের পরিচালক (ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিম ও মাকসুদুর রহমান। বাফুফে নির্বাচনে সহসভাপতি জয়ী হওয়া ক্লাবের দুই পরিচালক ইমরুল হাসান ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহিকে সভায় করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। সভা শুরুর আগে দুই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব এনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সামনেই অনুষ্ঠিত হবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের নির্বাচন। এর জন্য গঠন করা হবে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। এ কমিশনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। ক্লাব চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর ইঙ্গিত দেন ৪৫ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের। তত দিন পর্যন্ত বর্তমান কমিটিই দায়িত্বে থাকবে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল হয় সভাপতির পদটি। চেয়ারম্যানের পদ আগে থেকেই যেহেতু আছে, তাই সভাপতির আর প্রয়োজন মনে করেননি ক্লাব পরিচালকরা। এর বদলে প্রস্তাব এসেছে তিনটি সহসভাপতি পদ রাখার।