লাইফ স্টাইল ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:২৭

শুষ্ক ঠোঁটে স্থায়ী সমাধান পেতে মানুন এই নিয়ম

লাইফস্টাইল ডেস্ক

শীতকাল এলে অনেকেরই ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা যায়। সারাক্ষণ ঠোঁটটা শুকনো হয়ে যাকে। বারবার লিপ-বাম জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে হয়। এগুলি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দেয় না স্থায়ী স্বস্তি। শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তির আছে অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যেমন-
 

  • নারকেল তেল : নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই শুষ্কতার হাত থেকে ঠোঁটের সুরক্ষা করতে প্রত্যেকদিন ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যারিয়ার অয়েল, নিমের তেল প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। এগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বককে আর্দ্র করে। সেই সঙ্গে ঠোঁটকে নরম ও কোমল করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক তেলও যোগ করতে পারেন, যা ফাটা ঠোঁটের উপকার করবে। ফাটা ঠোঁট থেকে অনেক সময় সংক্রমণের ভয় থাকে। এ সব প্রাকৃতিক তেল সেই সব সংক্রমণকেও রোধ করতে পারে।

 

  • প্রস্তুত প্রণালি :অন্তত তিন রকমের তেল রাখুন। একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট ফাটা দূর হবে। দিনে অন্তত তিন বার করে ঠোঁটে লাগাতে পারেন এই তেলের মিশ্রণ। রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ভালো করে ধুয়ে নিন।

 

  • মধু : মধু এবং ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি একসঙ্গে ঠোঁটে ব্যবহার করলে তা ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে রক্ষা করে। মধু প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। অন্যদিকে ঠোঁট নরম রাখতে অনেকেই ভ্যাসলিন ব্যবহার করেন। এই দুটি উপাদানই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। ফাটা রোধে প্রথমে ঠোঁটে মধু লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁটে একটা পাতলা স্তর বা আস্তরণ তৈরি হবে। তার ওপর দিয়ে ভ্যাসলিনের একটা স্তর তৈরি করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই দুই উপাদান ফাটা ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবার টিস্যু বা পাতলা কাপড়ের সাহায্যে ঠোঁটের ওই আস্তরণ তুলে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই দুই উপাদান ঠোঁটে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যেই ফাটা ঠোঁটের সমস্যা কমে আসবে।

 

  • শসা : শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় শসা বেশ উপকারী। ত্বককে নরম এবং কোমল করে তুলতেও এর জুড়ি নেই। এজন্য টুকরো করে শসা কেটে নিন। দুই থেকে তিন মিনিট ধরে শসার টুকরো ঠোঁটের ওপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে আগে থেকে তৈরি করে রাখা শসার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন অন্তত ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস না লাগিয়ে চটকে নিয়ে প্যাক তৈরি করেও লাগাতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এটি ব্যবহার করলেই ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হবে।

 

  • অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে ঠান্ডা ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা। ঠোঁট ফাটা কমাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য অ্যালোভেরার পাতা কেটে তার ভিতরে থাকা জেল বের করে একটি পাত্রে রাখুন। ওই জেল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। একটি পাত্রে করে ওই জেল ফ্রিজে রাখতে পারেন। প্রতিদিন রাতেই এটা ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।

 

  • গ্রিন টি ব্যাগ : গ্রিন টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ফাটা ঠোঁটের সমস্যা সমাধানে এটি অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও গ্রিন টি ব্যাগ বেশ কার্যকরী। এজন্য গরম পানিতে গ্রিন টি ব্যাগটি কয়েক মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ওই টি ব্যাগটি সরাসরি ফাটা ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। কয়েক মিনিট রেখে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এটা করলে ঠোঁট ফাটা কমবে।

 

সূত্র :বোল্ড স্কাই