ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেখানে উপস্থিত হয় সেখানেই দেখা যায় টাইগার শোয়েবকে। দীর্ঘদিন বাঘের রূপ ধারণ করে গ্যালারিতে বসে সমর্থন দিচ্ছেন সাকিব-শোয়াবকে। এবার তাকে দেখা গেল ভিন্ন জায়গায়। পদ্মার বুকে লাল-সবুজের পতাকা হাতে হাজির শোয়েব আলী। উপলক্ষ্য স্বপ্নের পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যানটি বসেছে আজ বৃহস্পতিবার।
৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা নদীর দুই প্রান্ত যুক্ত হলো। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।
শেষ স্প্যানটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে আলোচিত পদ্মা সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় কাজের সমাপ্তি হলো। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে সেতু দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসেছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। বাকি ৪০টি স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাস লাগল।
একটি ট্রলারে চিরচেনা বাঘের আদলে জাতীয় পতাকা নিয়ে সেতুর সামনে গিয়েছিলেন শোয়েব।
তিনি বলেন, ‘এটা অন্যরকম অনুভূতি। অন্যরকম আনন্দ। প্রতিটা খেলা দেখতে গেলে চিন্তা থাকে জিতব না হারব। তবে আজকের বিষয়টি ভিন্ন। আজকে শতভাগ সেই চিন্তা ছিল না। আমরা আজকে শুধু জয়ী। কারণ পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যানটি বসেছে। আমার বাড়ি পদ্মার পাড়েই। আমার মতো আজ সবার মনেই আনন্দ। কখন শেষ স্প্যানটি বসবে অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে তা বসানো হলো।
ক্রিকেটের এই ভক্ত গ্যালারি থেকে জাতীয় দলকে সাহস দেয়া ছাড়াও নানা সামাজিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার জন্ম পদ্মার পাড়ের ফরিদপুরে। নদী ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করতে দেখেছেন আপন মানুষকে। তাদের সাহায্যে ছুটে গেছেন নানা সময়।
কথায় আছে সাতবার আগুন লাগলে যে ক্ষতি হয় তার থেকে বেশি ক্ষতি হয় একবার নদী ভাঙলে। সেতু হয়ে গেলে স্রোত কমবে। একে অনেক মানুষ নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পাবে। বিশেষ করে দুই পার থেকে যাত্রীদের যাতায়াতের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে। খুব কময়ে এপার থেকেই ওই পার চলে যাওয়া যাবে। প্রতীক্ষাটা সবার ছিল। মুরুব্বিরা বলতেন, আমরা দেখে যেতে পারবো কি না। অবশেষে স্বপ্ন সত্যিই হলো।’ যোগ করেন টাইগার শোয়েব।