বিনোদন ডেস্ক
টানা ১১ বছর টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেললেন মিমি চক্রবর্তী। মডেলিং, তারপর ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। বর্তমানে এ অভিনেত্রী প্রথম সারির নায়িকা। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, অভিনয় করবেন বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন মিমি! বলতেই পারেননি, তিনি অভিনেত্রী হতে চান। এমন চমকে দেওয়ার মতো কথা ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সাংসদ-তারকা নিজেই।
তিনি জানান, ১১ বছর আগে ‘পড়াশোনা করতে যাচ্ছি কলকাতায়’, মা-বাবাকে এই মিথ্যে বলে ভুলিয়েছিলেন তিনি। তারপর একাই চলে এসেছিলেন এই শহরে। লড়াই করে স্বপ্নজয়ের ইচ্ছে নিয়ে। বাড়ি থেকে মেয়ের খরচ হিসেবে প্রতি মাসে মা-বাবা পাঠাতেন মাত্র তিন হাজার টাকা। মিমির কথায়, ‘সেই টাকা দিয়ে খাব কী? পিজি-র ভাড়া দেব কী? নতুন জামা কিনব? না অডিশনে যাব! কিছুই ঠিকমতো হতো না।’
এক বছর ধরে এভাবেই লড়ে গিয়েছেন তিনি। হাল না ছেড়ে। সামান্য ওই ক’টা টাকা সম্বল করেই একের পর এক অডিশনে গিয়েছেন। অবশেষে প্রথম ব্রেক মডেলিংয়ে। সেখান থেকে ছোট পর্দায়। এখন তিনি বড় পর্দায়, খ্যাতির শিখরে।
এই ১১টা বছর যেন মিমির জীবনে প্রকৃত ‘রোলার কোস্টার’। কেন? অভিনেত্রীর মতে, ১১ বছর ধরে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পর এখন তিনি চিত্রনাট্য বাছাই করে অভিনয় করেন। শক্তিশালী, প্রতিবাদী চরিত্রই ইদানীং করার চেষ্টা করেন। উদাহরণ হিসেবে জানিয়েছেন তার পূজায় রিলিজ হওয়া ‘ড্রাকুলা স্যার’ ছবির ‘মঞ্জরী’ চরিত্রের কথা। যা নাকি মিমির এত দিনের সমস্ত চরিত্র থেকে একটু একটু করে নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়েছে।
জানা যায়, সামনেই পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচন। দলকে জেতাতে মরিয়া মিমি যেমন উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন।
