কৃষি ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৫৩

লালশাক চাষ করে ভাগ্যবদল আসলামের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই চাষ হয় লাল শাক। এই শাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন দেশের অনেক চাষি। দীর্ঘ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার মোহাম্মদ আসলাম শাক চাষ করেন। এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে লালশাক চাষ করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করেন।

আসলাম জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। এবার করোনায় বীজের মূল্য বেড়ে যাবার করেন সবজি চাষ করেন। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লালশাকের ফলন ১২ মাস হওয়ায় চলমান পরিস্থিতিতেও তিনি আলোর মুখ দেখছেন।

বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর লালশাক বিক্রির উপযোগী হলে পাইকারি মূল্যে তিনি তা বিক্রি করে দেন। আর লালশাকের ফলন ভালো হওয়ায় আসলাম প্রতি মাসেই লাভের মুখ দেখছেন।

৫ বিঘা জমিতে লালশাকের বীজ বপন করেছেন। সেখানে নিজে কাজ করার পাশাপাশি এক মাস অন্তর অন্তর শাক উঠিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনজন শ্রমিক নিয়োজিত রেখেছেন।

আসলাম বলেন, প্রতিবছর ৫ বিঘা জমিতে লালশাক চাষ করতে আমি ৫০ হাজার টাকা খরচ করি। এসব খরচ বাদ দিয়ে লালশাক বিক্রি করে আমার দেড় লাখ টাকা লাভ থাকে। বর্ষাকালে অধিকাংশ জমিতে পানি উঠে যায়। যতোটুকু সম্ভব আমরা বাঁধ দিয়ে সবজি চাষ করার চেষ্টা করি। তারপরও আমি সন্তুষ্ট। কারণ অনেক এলাকায় বর্ষাকালে সবজি চাষ করার সুযোগও থাকে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তাজুল ইসলাম জানান, লালশাক অনেক পুষ্টিকর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। লালশাকসহ অন্যান্য সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিকে খরচ কম হওয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য তরুণদেরকেও বাণিজ্যিকভাবে লালশাক চাষের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।