অপরাধ ও দুর্নীতি ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৩৬

যেভাবে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো ভুয়া মেজর

ডেস্ক রিপোর্ট

আব্দুল কাদের ওরফে আসিফ নামে এক ব্যক্তি সেনা কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। প্রতারণার শিকার রফিকুল হাসান। তার বাড়ি সৈয়দপুর শহরের অদূরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেহজংপুর ইউনিয়নে হাশিমপুর পাইকারপাড়ায়।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার ২০ জনেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশী অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার কাপড় ব্যবসায়ী শংকর রায়ের মাধ্যমে কথিত মেজর মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সময় আব্দুল কাদের নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিবহন শাখার পরিচালক দাবি করেন।

ওই কথিত মেজর ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ নেন তার থেকে। ২০২০ সালে ২৮ জানুয়ারিতে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক হিসেবে একটি নিয়োগপত্র তুলে দেন। পরে তিনি জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে একই রকম অভিযোগ করেন তনয় কুমার রায় নামে অপর এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমাকে ঢাকায় ডেকে নেন আব্দুল কাদের। পরে আমার মাধ্যমে আরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। আমাদের বাংলাদেশ সচিবালয়, সেনানিবাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান।

এতে করে তার ওপর আমাদের বিশ্বাস বেড়ে যায়। আমাদের কারো কাছ থেকে ১০ আবার কারো কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে উৎকোচ নেন তিনি। এভাবে সৈয়দপুর, চিরিরবন্দর পার্বতীপুরে কমপক্ষে ৩০ ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন আব্দুল কাদের।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ওই ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত। তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত পাবেন আপনারা। পরে নিয়ে টালবাহানা চলতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা জমি বেচে বিপুল অংকের টাকা তুলে দিয়েছি ওই প্রতারকের হাতে। এসব টাকা ফেরত চাই। এ বিষয়ে আব্দুল কাদের ওরফে আসিফের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি কাপড় ব্যবসায়ী শঙ্কর রায়ও ফোন কেটে দেন।