নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার ২২ আসামিকে তোলা হয়। এরপর বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।
আজ জব্দ তালিকার সাক্ষী বুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষক ডা. আব্দুল্লাহ আদনান এবং সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করবেন। ইতোমধ্যে মামলার মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ দুজন সাক্ষ্য দিলে মোট ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে।
এদিকে, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
এ মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক আছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষ জন এজাহারবর্হিভূত আসামি।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে মারধর করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।