আন্তর্জাতিক ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০৩:৩২

আবারো বাড়ছে বিটকয়েনের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট

সব রেকর্ড ভেঙ্গে প্রথমবারের মতো ৩১ হাজার ডলারে ঠেকেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ভার্চুয়াল এই মুদ্রাটির দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৮২৩ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক বিটকয়েনের বর্তমান দাম ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৫ টাকা। খবর বিবিসির।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর এক বিটকয়েনের দাম ছিল ২৮ হাজার মার্কিন ডলার। মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানের বেড়েছিল ৮ হাজার ডলার বা ৬ লাখ ৮০ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিটকয়েনের দাম বাড়ার সাথে সাথে মার্কিন ডলারের দাম পরার সম্ভবনা আছে। গত মার্চে যখন করোনার তাণ্ডব সামাল দিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের পেছনে ছুটছিলেন, সে সময় ডলারের দাম বেড়েছিল। এরপর মার্কিন সরকার সেদেশের নাগরিকের জন্য বিশাল অঙ্কের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলে ডলারের দাম কমতে থাকে। সদ্য সমাপ্ত বছরের শেষ দিকে ২০১৭ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামে ডলারের দাম।

সম্প্রতি ডিজিটাল মুদ্রার অন্যতম বড় লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান পেপালসহ বেশ কয়েকটি অনলাইনে পেমেন্টের ফর্মের সমর্থন পেয়েছে। এতে করে মুদ্রাটির লেনদেন আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিও অস্থির বিনিয়োগের সাক্ষী হয়েছে। ২০১৭ সালে এটির ২০ হাজার ডলার পার হয়েছিল। এরপর আবার কমতে কমতে ৩ হাজার ৩ ডলারের নিচে নেমে আসে এই মুদ্রাটির দাম। আবার গত নভেম্বরেই এর দাম ১৯ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়।

ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি, গত অক্টোবরে অর্থ প্রদানের মাধ্যম বা পদ্ধতি হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিট কয়েনের ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, আমাকে সত্য কথা বলতে হবে, এটা বোঝা মুশকিল যে, বিটকয়েনের আসলে কতটা স্বতন্ত্র মূল্য রয়েছে। মানুষ আসলে এমন অর্থ বা মুদ্রা চায় যার একটা বাহ্যিক মানও রয়েছে। কিন্তু বিটকয়েনের এ রকম কোনো মূল্য নেই। বিটকয়েনে বাজি ধরা বা বিনিয়োগ বাড়তে থাকায় তিনি ঘাবড়ে গিয়ে সতর্ক করেছিলেন, বিনিয়োগকারীদের এটা বুঝতে হবে, বিটকয়েনের মূল্য চরম অস্থিরতায় ওঠানামা করে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিট কয়েনের দাম ২০ হাজার ডলারে ওঠানামা করছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতনে মুদ্রাটির দাম ১১ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুদ্রাটির দাম ছিল ১ হাজার ডলারের মতো। তারপর থেকে এর মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। জুনে এক লাফে এর দাম ১০ হাজার ডলার বৃদ্ধি পায়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের সাংকেতিক মুদ্রা। এর কোনো বাস্তব রূপ নেই। শুধু ইন্টারনেট জগতেই এর অস্তিত আছে। এর মাধ্যমে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি একটি উঠতি মার্কেটি পরিণত হয়েছে। এই লেনদেনে তৃতীয় পক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই কে কার কাছে এই ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় করছে, তা অন্য কেউ জানতে পারে না।

সূত্রঃ সময় টিভি