পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গতকাল রোববার সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা গোষ্ঠীর ১১ খনিশ্রমিককে অপহরণের পর গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। খবর রয়টার্স ও ডনের।
কর্মকর্তারা জানান, বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বোলান জেলার ম্যাক এলাকায় গতকাল সকালে ওই ঘটনা ঘটে। ওই শ্রমিকেরা স্থানীয় এক কয়লাখনির কাছে একটি আবাসিক কক্ষে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, অপহৃত প্রত্যেককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সবার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। বাঁধা হয়েছিল তাঁদের চোখও।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মাঝেমধ্যেই আইএসসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলার শিকার হচ্ছেন হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০১৩ সালে কোয়েটার উপকণ্ঠে তিনটি বোমা হামলার ঘটনায় এই সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় হোয়াটসঅ্যাপের কিছু গ্রুপে ছড়ানো এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওই কক্ষের বাইরে তিন শ্রমিকের লাশ পড়ে রয়েছে। আর কক্ষের ভেতর অন্যদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটে লিখেছেন, নিরীহ ১১ খনিশ্রমিককে এভাবে মেরে ফেলা সন্ত্রাসীদের আরেকটি কাপুরুষোচিত ও অমানবিক কাজ। খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাকের মাধ্যমে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস এ হামলার দায়–দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
গত এপ্রিলে এই প্রদেশের একটি বাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন প্রাণ হারান। তাঁদের মধ্যে অর্ধেক ছিলেন সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ।
পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা
গতকালের ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কোয়েটার একটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এ সময় সড়কে টায়ার জ্বালান তাঁরা।
#প্রথম আলো