শিক্ষা ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৭:৫৩

রাবি উপাচার্যের অপসারণের দাবীতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবাহানসহ ‘দুর্নীতিবাজ’ সকল প্রশাসনিক ব্যক্তিদের অপসারণ দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী’ মঞ্চ।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও আন্দোলনে’ লাগাতার কর্মসূচির দেওয়ার ঘোষণাও দেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আম চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মলনে রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মহব্বত হোসেন মিলন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনের যেকোনও দায়িত্বে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় আর একদিনেও চলতে পারে না। এত বড় অপরাধ করার পর তাদের শিক্ষকতা করারও কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তাই দ্রুত ভিসি, প্রো-ভিসিসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অপসারণ না করা পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মলনে তারা উল্লেখ করেন, “অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল” ব্যানারে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ বর্তমান প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যক্তি বর্গের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে তদন্ত করার ভার দেয়। ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দু’ দফা তদন্ত করে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য তিন ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়েছে। তারা হলেন ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার।

এ সময় সংবাদ সম্মলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, দফতর সম্পাদক রাকিব হাসান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।