ডেস্ক রিপোর্ট
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবাগে শিপবিল্ডার্স শিল্পের একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম, সেখানে আমি বক্তব্য রাখার সময় বাংলাদেশের নাম শুনে তিন-চার মিনিট ধরে হাত তালি দিলেন বিদেশিরা। সেখানে তো কেউ আমাকে চেনেন না। কিন্তু বাংলাদেশের নাম শোনামাত্রই হাত তালি দিলেন। এটা শুধু শিপবিল্ডার্স ও মেরিন আর্কিটেক্টে এগিয়ে যাবার ফল।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘ট্রান্সফরমিং টু এ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড এক্সপার্টিং কান্ট্রি: চ্যালেঞ্জ ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, নৌ খাত বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এখন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা চাইলেই ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন। ব্যাংকের টাকায় ব্যবসা করতে পারছেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। শিপবিল্ডার্স শিল্পে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও এগিয়ে আসবেন। এ খাতে যে সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে।
‘বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে বলতে হবে প্রয়াত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর কথা, তিনি হলেন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের কারিগর। তিনি বদলে দিয়েছেন এই সেক্টর। বঙ্গবন্ধু হলেন উন্নয়নের মূল কারিগর। সেই আদর্শ ধারণ করে জামিলুর রেজা চৌধুরী অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের যে উন্নয়নের বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে, সেটা বঙ্গবন্ধুর ৩ বছরের শাসনামলের ফল। বঙ্গবন্ধু প্রতিটা সেক্টরে উন্নয়ন করেছেন। তিনি ভিশনারি লিডার ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন গঠন করে গেছেন। ’৭৫ সালের পর বাংলাদেশ উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে উল্টো পথে পরিচালিত করা হয়। ফলে দেশ এগিয়ে যায়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে আসে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তার দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। একাধিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। ‘৭৫ পরবর্তী জিয়া, এরশাদ ও খালেদা এ দেশকে পেছনে নিয়ে যায়। যার বোঝা এখন আমাদের টানতে হচ্ছে।