ডেস্ক রিপোর্ট
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে চীন জানিয়েছে, তারা এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে। মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার চীন।
দেশটির খনি, অবকাঠামো এবং গ্যাস পাইপলাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।
দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘মিয়ানমারে কী ঘটেছে, তা আমরা লক্ষ করেছি এবং এখন আমরা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও জানছি।
চীন মিয়ানমারের প্রতিবেশী বন্ধু। আমরা আশা করি, সংবিধান এবং আইন মেনে সব পক্ষ সঠিকভাবে তাদের বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।’
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। অভ্যুত্থানে আটক অং সান সু চি-সহ মিয়ানমারের বেসামরিক রাজনীতিবিদদের ছেড়ে দেওয়া না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে সতর্ক করেন বাইডেন।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ তথ্য জানায়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান তার পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। এমনকি কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন চীনের বিরুদ্ধেও এ নীতি অটল থাকবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছরে এশিয়ার দেশগুলোতে গণতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া, মিয়ানমারকে প্রতিবেশী চীনের প্রভাবমুক্ত করার জন্যেও দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।