কৃষি ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৫:৪৪

বিচিহীন কুলে স্বাবলম্বী নাসির

ডেস্ক রিপোর্ট  

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বিচিহীন (সিডলেস) কুলের চাষ শুরু করেছেন মাগুরা সদর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের নাসির আহম্মেদ। বিচি না থাকার ফলে বাজারে এই কুলের চাহিদা অনেক।

অনেকটা লাল, কিছুটা সবুজ দেখতে এই কুল দেশি কুলের থেকে মিষ্টি। সাধারণ দেশি কুলের ভেতরে আঁটি বা বিচি থাকে কিন্তু এ কুলের ভেতরে তা নেই।

নাসির অ্যাগ্রোফার্ম অ্যান্ড নার্সারির মালিক নাসির আহম্মেদ বলেন, ইউটিউব দেখে মৌসুমের শুরুতে ৪ একর জমিতে দুই হাজার বিচিহীন (সিডলেস) চারা রোপণ করি। ৪-৫ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। আমার বাগান থেকে এ কুল হারভেস্ট করা শুরু হইছে। স্থানীয় কিছু ব্যাপারিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমার এখান থেকে কুল যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, এ কুলের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য ভেতরে বিচি নেই। খেতে খুবই সুস্বাদু। অন্য কুল থেকে এর বাজার চাহিদা খুব বেশি। আনকমন হওয়ায় আমি অন্য কুল থেকে এর বাজার মূল্য বেশি পাচ্ছি।

kul

নাসির আরো জানান, এ কুল চাষ করতে ৪ লাখ ২০হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই একর জমির কুল ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। বাকি দুই একর জমির কুল ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আমার থেকে শতাধিক লোক চারা নিয়ে বাগান করেছেন। চারা বিক্রি করেও বেশ লাভ হচ্ছে।

মাগুরার নতুন বাজার ফল ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, নাসির অ্যাগ্রোফার্ম অ্যান্ড নার্সারি থেকে কুল নিয়ে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এ কুলের ব্যাপক চাহিদা ভালো। আমরাও লাভবান হচ্ছি।

মাগুরা উদ্যানতত্ত্ববিদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রথমবারের মতো মাগুরাতে এ কুলের চাষ হয়েছে। নাসির আহম্মেদকে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এ কুলের জাতের চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালে ফলের চাষ শুরু করেন নাসির আহম্মেদ। প্রথমে ৫ শতাংশ জমিতে চাষ করলেও বর্তমানে তিনি ১০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষ তার নার্সারি দেখতে আসে।