জাতীয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৭:২৩

সাহসিকতার পদক পেলেন ৪০ কোস্টগার্ড কর্মকর্তা-নাবিক

ডেস্ক রিপোর্ট

বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক পেলেন ৪০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক।

গতকাল রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তাদের এসব পদক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল তাদের হাতে পদক দেন।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক (বিসিজিএম) পেলেন যারা
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক (বিসিজিএম) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হক, ক্যাপ্টেন এস এম মঈন উদ্দীন, লে. কমান্ডার এম সাজ্জাদ হোসেন, লে. কমান্ডার ইমতিয়াজ আলম, লে. কমান্ডার শাহ জিয়া রহমান, কমান্ডার এম মেহেদী হাসান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ শরীফ ও এম আবু হানিফ।

প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক (পিসিজিএম) পেলেন যারা
ক্যাপ্টেন এস এম শরিফ-উল ইসলাম, কমান্ডার মো. নিজাম উদ্দিন সরদার, লে. কমান্ডার এম ফিরোজ খাঁন, লে. কমান্ডার এম বায়েজীদ, এম আব্দুর রাজ্জাক, মো. রেজাউল করিম, সোহরাব হোসেন, ইয়াদুল ইসলাম, মো. সুমন মিয়া ও মো. আশিক ইকবাল শাকিল।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (সেবা) পদক (বিসিজিএমএস) পেলেন যারা
রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, ক্যাপ্টেন এম নূরুল ইসলাম শরীফ, কমান্ডার এস এম আনোয়ারুল করিম, সার্জন লে. কমান্ডার ফাতেমা তুজ জোহরা, মো. ইয়াকুব আলী, মো. মামুন মিয়া, মো. মোনাঈম হোসেন, মো. সাইফুর রহমান, এলকুক, মামুন-উর-রশিদ, এলইএন মো. শাহীনূল হক।

প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক (পিসিজিএমএস) পেলেন যারা
কমান্ডার এম মাহফুজুর রহমান, কমান্ডার এম আশরাফুল আলম, কমান্ডার এম লোকমান হাকিম, লে. কমান্ডার মোস্তফা তারিক হায়দার, সাব-লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সেকিল, এম আব্দুস সালাম মিয়া, এম সাইফুল ইসলাম, ইউছুফ আল মামুন, মো. আতিকুল বারী ও মো. ইয়াকুব মোন্না।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান-মাদক-মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কোস্টগার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন আধুনিক জাহাজ, ঘাঁটি ও জলযান সংযোজনের মাধ্যমে বর্তমানে এ বাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোস্টগার্ডকে একটি আধুনিক এবং যুগোপযোগী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর এই বাহিনীতে একই সঙ্গে যুক্ত হয় নয়টি জাহাজ এবং একটি ঘাঁটি।