Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব হলেও তা করা হয়নি : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক . হাছান মাহমুদ বলেছেন, অন্যান্য দেশে যেভাবে টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বাংলাদেশেও চাইলে সেভাবে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব হলেও তা করা হয়নি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন।

সেনাপ্রধানের দুই ভাইয়ের সাজা মওকুফ করার ক্ষেত্রে একটি গণমাধ্যম বলেছে তাদের সাজা ২০১৯ সালে মওকুফ করা হয়েছিল, সেটা কোনও পদ্ধতিতে করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সাজা মওকুফ করা হয়েছে কি না জানি না। তবে একজনের সাজা মওকুফ হয়েছে বলে আমি জানি। আমি পুরাপুরি বিষয়টা নিয়ে ওয়াকিবহাল নই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহুজনের সাজা মাফ করা হয়েছে, সে এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির আছে। বিচার বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রপতি সেটি মাফ করেন। এখন তারা বহু বছর সাজা খেটেছেন, একজন সম্ভবত ২০ বছর সাজা খেটেছেন। একপর্যায়ে কিন্তু সাজা মওকুফ করা হয়। অনেক দিন সাজা খাটার পর কয়েদি যদি ভালো আচরণ করে সেক্ষেত্রে সাজা মওকুফ করা হয়, সেটা ইউজুয়াল প্রসিডিউর।

তিনি বলেন, আল জাজিরার রিপোর্ট যেটি করা হয়েছে আপনারা দেখেছেন, সেটি শিরোনামের সঙ্গে রিপোর্টের কোনও সম্পর্ক নেই। শিরোনাম দেয়া হয়েছেঅল আর দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান ভেতরের প্রতিবেদন হচ্ছে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তার পরিবারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনটি দেখেশুনে মনে হয়েছে এটি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা একটি রিপোর্ট। বিশ্বব্যাপী আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরও আল জাজিরার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারতাম। অন্যান্য দেশে যেভাবে টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হয় আমাদের দেশে চাইলে সেভাবে বন্ধ করতে পারতাম। আমরা বন্ধ করিনি। কারণ আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তারা একটি পক্ষ হয়ে এবং সম্ভবত একটি পক্ষের পক্ষ থেকে আমরা যেটি শুনেছি এটির সঙ্গে আরও বহু পক্ষ যুক্ত আছে।

আল জাজিরার বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি হাইকোর্টে যায় বা আদালতে যায় সেক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনও নির্দেশনা পাই, তাহলে আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই আমরা পালন করবো।


আরো খবর