স্বাস্থ্য সেবা ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৭:২২

হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার পরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে দেশের সব হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর মত করে সারা দেশের হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবারের মান পরীক্ষা করে গ্রেডিং স্টিকার এবং নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা চালু করতে বলেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডারভিত্তিক খাবারের মান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুব ভালো যে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট-হোটেলে খাবারের মান পরীক্ষা করে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হচ্ছে, মনিটরিং করা হচ্ছে। রাজধানীর পাশাপাশি পুরো দেশেই এটা হওয়া দরকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য যা সহযোগিতা করা দরকার করবো। এর জন্য টাকা লাগবে। অর্থমন্ত্রী আমার পাশে আছেন। সমস্যা নাই। তিনি এটা দেখবেন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য যা প্রয়োজন সব করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকাল অনলাইনে অর্ডারের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় খাবার যাচ্ছে। ফুড সাপ্লাই হচ্ছে। এটা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা দেখা দরকার।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সচেতননতা বাড়ানোর হতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই পয়সা বেশি কামানোর জন্য এরা ভেজাল দিতেই থাকে। পচ-গন্ধ খাবার দিতে থাকে। খাবারের মানটা ঠিক রাখার জন্য দামটা হয়তো একটু বেশি পরতে পারে, কিন্তু ভেজাল যাতে দিতে না পারে সেটা নজরদারি করতে হবে। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে খাদ্যের মান পরীক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে এবং গ্রাম পর্যায়েও ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রফতানি করতে হলে খাবারের মান বাড়ানো ও খাদ্য পরীক্ষার ওপর জোর দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। খাবারের পাশাপাশি কৃষিজমির গুণাগুণ ও ফসলের মান পরীক্ষার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ করেছি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করেছি, গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। ফুড গ্রেড ল্যাবরেটরি করে রফতানির প্রতিবন্ধকতা দূর করেছি। অনেকগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছি। লবণাক্ত সহিঞ্চু ধান, খরা সহিঞ্চু ফল-ফসল এরকম অনেক ভালো ভালো গবেষণা হয়েছে।