আইন ও আদালত ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৪৮

বাবা'র মৃত্যুর বিচার চাইতে গিয়ে মৃত্যুশয্যায় ছেলে

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

রাজধানীতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক পারভেজ রব নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে পরিবহনটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তার ছেলে ইয়ামিন আলভী (১৯) ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান ছোটন (২০)। কিন্তু বাকবিতণ্ডার জেরে এই দু’জনের ওপরই বাস চালিয়ে দিয়েছেন ভিক্টর পরিবহনের আরেক চালক। এতে মৃত্যু হয়েছে ছোটনের, মৃত্যুশয্যায় কাতরাচ্ছেন আলভী।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় আলভীদের বাসার কাছে এই ‘হত্যাকাণ্ড’ ঘটে বলে জানান তার স্বজনরা। 

তারা দাবি করেন, সড়ক দুর্ঘটনায় পারভেজ রব নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপের জন্য ভিক্টর পরিবহনের কর্মকর্তারা আলভীদের বাসার কাছে আসেন। সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা হলে পারভেজ রবের পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ভিক্টর পরিবহনের এক চালককে মারধর করেন। এসময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস তাদের উপর চালিয়ে দেওয়া হয়। এতে আলভী ও তার বন্ধু ছোটন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোটন মারা যান। আর আলভীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর উত্তরার তুরাগে ভিক্টর পরিবহনের ধাক্কায় নিহত সংগীত পরিচালক পারভেজ রবের ছেলে আলভী ও তার বন্ধু ছোটনসহ বেশ কয়েকজন উত্তরা কামারপাড়ায় তাদের বাসার সামনে ভিক্টর পরিবহনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে। এ সময় তারা উত্তেজিত হয়ে সেখানে থাকা ভিক্টর পরিবহনের এক চালককে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই চালক বাস টান দিলে গাড়ির নিচে চাপা পড়েন ছোটন ও আলভী। পরে দু’জনকেই দ্রুত উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ছোটন মারা যান। আলভীকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসটিকে জব্দ এবং সেই চালককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসচালক দাবি করেন, হঠাৎ তাকে মারধর করায় তিনি আত্মরক্ষার্থে গাড়ি টান দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।