অপরাধ ও দুর্নীতি ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:০৪

নোয়াখালীতে একজনের যাবজ্জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম শিপন হত্যার ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. ইমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী দায়রা জজ আদালতের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ইমন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার জায়কা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড পানাহার এলাকার গোলাপ মিয়ার বাড়ীর আল আমিন মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে ঘুরাঘুরির জন্য ওয়ার্কশপের মালিক শহিদুল ইসলামের কাছে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চায় ইমন। কিন্তু মোটরসাইকেল না দিয়ে ইমনকে গালমন্দ ও মারধর করে শিপন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপনকে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ইমন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতের কোন এক সময় রমনিরহাট বাজারে ওয়ার্কশপের ভিতরে ঘুমে থাকা শিপনকে হাতুড়ি দিয়ে জখম করে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় ইমন।

সূত্র আরো জানায়, ওইদিন ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে কুমিল্লার চান্দিনার বানিয়াপাড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি পোল্ট্রি ফার্মের গুদামে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় ইমন। পরবর্তীতে পুলিশ কিশোরগঞ্জে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইমনকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। হত্যার পরদিন নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে শুনানি হয়। তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে ক্ষোভ থেকে অপরাধটি সংঘঠিত ও ওইসময় তার বয়স ১৯ বছর থাকায় তা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ইমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।