জাতীয় ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০২:১১

কর প্রদানে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে: সালমান এফ রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট

কর প্রদানের মানসিকতা পরিবর্তনের ওপরে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজস্ব আহরণ অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তবে বাংলাদেশের জিডিপিতে করের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কম। তিনি জিডিপিতে করের অবদান বাড়ানোর জন্য সবাইকে কর প্রদানে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার বিডা কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’ সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বছর প্রায় ৫৫ হাজার নাগরিককেকর জালেরআওতায় নিয়ে এসেছে।’’ তিনি কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিদ্যমান রাজস্ব কাঠামো যুগোপযোগীকরণ এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার কার্যক্রম আরও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার ওপর জোরারোপ করেন। সালমান এফ রহমান জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে, যা উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব, বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট, স্বল্পন্নোত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ এবং সর্বোপরি কোভিডের প্রভাবের কারণে দেশের বেসরকারি খাত বেশ প্রতিকূলতার মাঝে পরিচালিত হচ্ছে।তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক কোটামুক্ত সুবিধা গ্রহণ করতে হলে বাংলাদেশকে ২৭টি শর্ত পূরণ করতে হবে।এমন বাস্তবতায় যথাসময়ে ইইউ শর্তপূরণের কার্যক্রম তদারকি এবং ইইউ সঙ্গে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করতে একটিন্যাশনাল স্ট্রাটেজি কমিটিপ্রণয়নের প্রস্তাব করেন তিনি। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘‘দেশে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় হ্রাস এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিডাওয়ান স্টপ সার্ভিসচালু করেছে, যা ব্যবসায়ীদের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে।তবে সেবার কার্যকর প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থায় দক্ষ জনবল নিয়োগে তিনি জোরারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বৈশ্বিক বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রায় এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে গেছে এবং উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল .৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমতাবস্থায় বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে তিনি সরকারের শিল্পনীতি, আমদানি-রফতানি নীতি, বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালাসহ সংশ্লিষ্ট সব নীতিমালার সমন্বয় খুবই জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘কোম্পানি আইনে একক ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে মূলধনের সীমা ২৫ লাখ টাকা এবং বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ এক কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছেতা কিছুটা যৌক্তিকীকরণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো একক মালিকানাধীন কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন হতে আগ্রহী হবে এবং এর মাধ্যমে কর আহরণের সীমা আরও বর্ধিত হবে।