সারাদেশ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:২৩

কোটা পুনর্বহাল দাবিকারীদের ওপর ‌লাঠিচার্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সারাদেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ, টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট মানববন্ধন করেছে। শনিবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে টাঙ্গাইল সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ টাঙ্গাইল জেলা শাখা ইউনিটের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীশের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক যুগ্ম-সচিব লুতফুল্লাহ সাঈদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান, কেন্দীয় নির্বাহী সদস্য আহমেদ সুমন মজিদ, ঢাকা বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম, তুহিন সিদ্দিকী, সোহেল সোহরাওয়ার্দী, টাঙ্গাইল জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সদস্য সচিব জিয়াদ সিদ্দিক, সদর উপজেলার আহ্বায়ক আব্দুল আলীম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শোয়েভ হাসান কবির, সদস্য-সচিব সাইফুল ইসলাম, সদস্য খন্দকার কামরুন নাহার, শহিদুল ইসলাম সোহেল, সজীব, পৌর শাখার আহ্বায়ক এ কে এম মনজুরুল হক রনি ও সদস্য আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আহ্বায়ক আব্দুল আলীম।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনভর রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ’ নামের একটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তখন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া ও মহাসচিব শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচির শুরুতেই পুলিশের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদের নেতাকর্মীদের শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিতে বলা হয়। তবে পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যান। সন্ধ্যার কিছু আগে ৫টা ৫০ মিনিটে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী হতাহত হন।

তবে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করা হয়নি। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে আমরা বাঁশি ফুঁকে ও পানি দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’