খেলাধুলা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০২:৩৬

কেন অবসাদগ্রস্ত বিরাট, সাবেক ক্রিকেটারের প্রশ্ন

স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে এবারবিতর্কিতমন্তব্য করে বসলেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার কয়েকদিন আগেই ২০১৪ সালে নিজের মানসিক অবসাদগ্রস্ত থাকার কথা জানিয়েছিলেন কোহলি আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটারের মন্তব্য, সুন্দরী স্ত্রী থাকতেও কীভাবে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন একজন ক্রিকেটার? পাশাপাশি তার মতে, ধরনের রোগ পশ্চিমী বিশ্বের আর এরপরই তার এই বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছে ক্রিকেট দুনিয়ায়

সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারকে এই প্রসঙ্গে বলতে শোনা যায়, “ওরকম সুন্দর স্ত্রী থাকতে কেউ কীভাবে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে? ওর সন্তানও হয়েছে এর জন্য তো বিরাটের ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত'

এরপরই তিনি বলেন, ‌মানসিক অবসাদ পশ্চিমী দুনিয়ার ওরাই এগুলো নিয়ে বেশি কথা বলে কিন্তু আমাদের ভারতীয়দের মানসিক কাঠিন্য অনেক বেশি আমাদেরও জীবনে অনেক ওঠা-নামা থাকে কিন্তু আমরা মানসিক জোরেই জীবনযুদ্ধের সেই লড়াইয়ে নামি এবং সফল হই, যা কি না অন্যদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কম রয়েছে'

আর ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের এই বক্তব্য শোনার পরই অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন এর আগে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা মার্ক নিকোলাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কোহলি সেখানেই তিনি ২০১৪ সালের ঘটনার কথা বলেন সে বছর ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া সেখানে একের পর এক ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কোহলি আর তাতেই বাড়ে হতাশা পাঁচ টেস্টে কোহলির সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে , , ২৫, , ৩৯, ২৮, , , ২০ অর্থাৎ দশটি ইনিংসে শতরান তো দূর অস্ত, একটি হাফ-সেঞ্চুরিও করতে পারেননি তিনি দশ ইনিংসে তার গড় ছিল ১৩.৫০ সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেই কোহলি বলেছিলেন, “হ্যাঁ, কেরিয়ারের এক সময় সত্যিই হতাশা গ্রাস করেছিল আমায় ঘুম থেকে উঠেই যদি মনে হয় আজ আমি রান করতে পারব না, সেই অনুভূতি কোনও ক্রিকেটারের জন্যই সুখকর নয় আমার বিশ্বাস, সব ক্রিকেটারকেই জীবনের একটা না একটা সময় এই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মনে হয় যেন নিজের হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব, ভেবে কূলকিনারা পাওয়া যায় না

এরপরই বলেন, “আমিও কোনোভাবেই পরিস্থিতি বদলাতে পারছিলাম না মনে হচ্ছিল, গোটা বিশ্বে আমিই সবচেয়ে একাআশপাশে বহু মানুষ তার পাশে দাঁড়ালেও সেই একাকীত্ব চট করে কাটেনি কোহলির কথায়, “সবার সঙ্গেই কথাবার্তা বলতাম কিন্তু হতাশা কাটত না মনে হয়, কোনো বিশেষজ্ঞই একমাত্র ব্যাপারে হয়তো সাহায্য করতে পারত নিজের অনুভূতিটা তাকেই বোঝাতে পারতাম