সারাদেশ ৫ মার্চ, ২০২১ ০৬:২৬

কুঁড়িয়ে পাওয়া সেই নবজাতককে নিতে চায় ২৩ দম্পতি

ডেস্ক রিপোর্ট

পলিথিনের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতকটিকে দত্তক নিতে সাতক্ষীরা উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন ২৩ দম্পতি।

গত ২ মার্চ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন কালভার্টের ওপর পড়ে ছিল শিশুটি। সেখান থেকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকেই নবজাতককে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন পড়তে থাকে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডে।

আজ শুক্রবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা পর্যন্ত এসব আবেদন জমা পড়ে। তবে আবেদনের তারিখ রোববার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও শিশুকল্যাণ বোর্ডের সদস্যসচিব শেখ সহিদুর রহমান।

তিনি জানান, ওই নবজাতককে দত্তক নিতে ঢাকা, ঝিনাহদহ, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সেনা কর্মকর্তাসহ ২৩ জন আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজার গিফারি বলেন, আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর যিনি যথাযথভাবে পরিচর্যা করে শিশুটি মানুষ করতে পারবেন এবং যার কোনো ধরনের সমস্যা থাকবে না, তাকে শিশুটির দায়িত্ব দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরা সরকারি চাকরিজীবী দম্পতিদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

এর আগে সোমবার (২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামনগরের ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকার একটি কালভার্টের ওপর পড়ে থাকা একটি পলিথিনের ব্যাগ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। বাস টার্মিনাল মসজিদের মুয়াজ্জিন সামসুর রহমান তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছে।

নবজাতকটিকে উদ্ধারের বিষয়ে শিরোনামে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস টার্মিনাল মসজিদের মুয়াজ্জিন শামছুর রহমান ভোরে ফজরের আজান দিতে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এসময় রাস্তার পাশে একটি কালভার্টের ওপরে পড়ে থাকা পলিথিনের ব্যাগের ভেতর থেকে নবজাতকের কান্না শুনতে পান। কান্না শুনে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনেন। পরে সোমবার দুপুরে শিশুটিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নবজাতকটির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এখনো পর্যন্ত নবজাতকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।