জাতীয় ৬ মার্চ, ২০২১ ০২:৫১

রোহিঙ্গাদের জন্য কুটির শিল্প স্থাপনের সুপারিশ

ডেস্ক রিপোর্ট

পর্যটন জেলা কক্সবাজারের ওপর চাপ কমাতে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য কুটিরশিল্প স্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সব দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর অধিকতর নিরাপদ বলে তুলে ধরা হয়েছে।

শনিবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।  

‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজর (সিএফআইএসএস) চেয়ারম্যান কমোডর এম এন আবসার। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ঢাবির উপ-উপাচার্য বলেন, ২০১৭-১৮ সালের ইউএনএইচসিআর ও আমার বিভাগ একটি গবেষণা করেছিলো তাতে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে যেসব জায়গায় রয়েছে তাতে যেকোনো সময় পাড় ধস ও ভূমি ধসের কারণে লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে এখন সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সব দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশের থেকেও নিরাপদ যেখানে তারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভাসানচরের সামাজিক ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করা। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত, ভূতত্ববিদ, পরিবেশবিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত বিশ্লেষণপূর্বক এই গবেষণা মনে করে যে, ভাসানচর একটি নতুন দ্বীপ হিসেবে পুরোপুরি বসবাসযোগ্য এ দ্বীপে প্রতিষ্ঠিত স্থাপনাগুলো আধুনিক বাসস্থান, রাস্তা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং বাঁধ (৯ ফিট উঁচু বাঁধ যেটি ১৯ ফিট উঁচু করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে) দ্বীপটিকে টেকসই করেছে। বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে এই দ্বীপটি ডুবে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বিশেষত, তিন স্তরের দুর্যোগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বীপটিকে ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার কবল থেকে রক্ষা কৃষিকাজ, সবজিচাষ, মাছ শিকারসহ এখানে আরো জীবন-জীবিকার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মকর্ম পালন ও বিনোদনের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। বিশেষ পরিস্থিতিতে দুর্যোগ হলে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র।