অপরাধ ও দুর্নীতি ৯ মার্চ, ২০২১ ০২:২৪

যেভাবে অবৈধ অস্ত্রকারখানার সন্ধান পায় পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট

বেশ কিছুদিন ক্রেতা সেজে যোগাযোগের একপর্যায়ে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার নাটিয়াবাড়ি এলাকার অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানাটির সন্ধান পায় ডিবি পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সোমবার দুপুরে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দু’জনকে আটক করে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল। আটক দু’জনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র কেনা-বেচার কাজে ব্যবহৃত একটি নীল রঙের প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারখানা যে বাড়িতে, সে বাড়ির মালিকসহ চারজনকে খুঁজছে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন ডিবি পুলিশ কয়েকদিন ধরে ক্রেতা সেজে তাদের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। সোমবার দুপুরে ওই অস্ত্রৈতরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে অভিযান করি আমরা। একপর্যায়ে সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ির মাটির নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড একটি কক্ষ থেকে অস্ত্র বানানোর সময় দু’জনকে আটক করা হয়। এসময় চারটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ওই দু’জনকে আটক করা হয়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছে। বাড়ির মালিকসহ আরও চারজন পালিয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার রাকশা গ্রামের মৃত, মোকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মনসুর মিঠু (৪১) ও একই উপজেলার নাটিয়াবাড়ি রাজনারায়নপুর গ্রামের মো. হানিফ কাজীর ছেলে আব্দুল আল সিয়াম কাজী (১৯)।

অভিযানে ওই বাড়ি থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও দু’টি দেশি তৈরি শ্যুটারগান উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে দু’জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অস্ত্রের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আটক দু’জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাদের নামে পূর্বের বেশ কিছু মামলা রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র আইন ও অবৈধ ওষুধ রাখার অভিযোগে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ডিএসবি) শামিমা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হান্নানসহ ডিবি ও জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সব কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।