Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন দুই বাংলাদেশি

ডেস্ক রিপোর্ট

ভারত সরকার এবং আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশি নাগরিক মানসিক ভারসাম্যহীন সমীর কুমার মজোমদার এবং শালিনতারা বেগম সুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেন।

শুক্রবার (১২ মার্চ) তারা আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যান।

তাদের গ্রহণ করতে আখাউড়া সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন তাদের আত্মীয়পরিজনরা। তাদেরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে আখাউড়া সীমান্তের ভারতীয় অংশে উপস্থিত ছিলেন আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের হাইকমিশনার মোহাম্মাদ জোবায়েদ হোসেন, প্রথম সচিব (স্থানীয়) এস. এম. আসাদুজ্জামান, কর্মকর্তা আসিকুর রহমানসহ আগরতলার নরসিংগড় এলাকার মর্ডান সাইকিয়াটিস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

দীর্ঘ প্রায় আট বছর আগে বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঝুমারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সমীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। বহু খোঁজাখুজির পর পরিবারের লোকজন তাকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন। অবশেষে তারা বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক ও রেলপথ বাস্তবায়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ খায়রুল আলমের মাধ্যমে জানতে পারেন যে সমীর ত্রিপুরায় রয়েছেন। পরবর্তী সময় সৈয়দ খায়রুল আলমের মাধ্যমে সহকারী হাইকমিশন এবং ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতায় ভাইকে খুঁজে পেয়ে খুশি। এর জন্য এই কাজে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

দীর্ঘ ১৩ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গুড়িগ্রামের বাসিন্দা মহিলা শালিনতারা বেগম। অবশেষে সৈয়দ খায়রুল আলমের মাধ্যমে তাকেও খুঁজে পান তার পরিবার। এদিন তাকে নিতে আখাড়া সীমান্তে এসেছিলেন তার দাদা। তিনিও বোনকে ফিরে পেয়ে খুশি এবং এর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এই বিষয়ে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের হাইকমিশনার মোহাম্মাদ জোবায়েদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যে সময় তারা ত্রিপুরা এসেছিলেন তখন মানসিকভাবে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ ছিলেন না। পরবর্তীতে ত্রিপুরা সরকারের মর্ডান সাইক্রিয়াটিস্ট হাসপাতলে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠে এবং তাদের নাম-পরিচয় ও বাড়ির ঠিকানা বলেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারি হাই কমিশনের তরফে তাদের নিজ নিজ গ্রামে খোঁজ নিয়ে যখন সবকিছু মিলে যায় তারপরেই তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আগরতলার মানসিক হাসপাতাল এখনো প্রায় ১৩ জন বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিন যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে দেওয়া হয়। এ কাজের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর সম্পর্কের নজিরাবাদ সামনে এলো।


আরো খবর