আন্তর্জাতিক ১০ অক্টোবর, ২০২২ ০১:৪১

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ

 ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বানের মধ্যে সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন তিনি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধরত রাশিয়ার বাহিনীগুলো প্রধান সরবরাহ রুট কের্চ প্রণালীর উপর দিয়ে যাওয়া কের্চ সেতুতে শনিবার এক ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, এতে সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়ে ও নিকটবর্তী রেল সেতুতে ক্রিমিয়ামুখি জ্বালানিবাহী একটি ট্রেনের সাতটি বগিতে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে তিন জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

দায় স্বীকার না করলেও এই ঘটনাকে একটি বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা।

রোববার ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপলোড করা এক ভিডিওতে পুতিন বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে।

ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নির্দেশে, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সোমবারের বৈঠকের আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদ বলেন, এই হামলার জন্য দায়ী ‘সন্ত্রাসীদের’ রাশিয়ার হত্যা করা উচিত।

রাশিয়া শুধু সন্ত্রাসীদের সরাসরি হত্যার মাধ্যমে এই অপরাধের জবাব দিতে পারে, যেমনটি বিশ্বের সব জায়গায় প্রচলিত। রাশিয়ার নাগরিকরা এটিই প্রত্যাশা করে,” বার্তা সংস্থা তাসের দেওয়ার উদ্ধৃতিতে তিনি এমনটাই বলেছেন।

রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহরের ঘাঁটি সেভাস্তোপোল বন্দরের জন্য প্রধান সরবরাহ পথ হিসেবে ভূমিকা রাখছে আর এটি ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অন্তভুক্ত করার প্রতীকও হয়ে আছে।

কের্চ সেতুর বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে রোববার পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন রাশিয়ার অনুসন্ধানী কমিটির প্রধান আলেকসান্দার বস্ত্রিকিন। 

তিনি জানিয়েছেন, সেতুতে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের পর সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই গাড়িটি বুলগেরিয়া, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ওশেটিয়ার পর রাশিয়ার ক্রাসনাদার অঞ্চল হয়ে সেতুটিতে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে যারা সতায়তা করেছে তাদের মধ্যে ‘রাশিয়া ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকরা’ রয়েছে।  

সামাজিক মাধ্যমে আসা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, সেতুটির এক পাশের দুটি অংশ ধসে পড়েছে, তবে ইতোমধ্যেই সেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি ও আংশিক সড়ক পরিবহন শুরু হয়েছে।       

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর থেকে কের্চ প্রণালীতে ফেরিযোগে দেড় হাজার মানুষ ও ১৬২টি মালবাহী ভারী যান পারাপার হয়েছে।