আন্তর্জাতিক ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০৩:৪৯

ছাত্রী শিক্ষকের প্রেম, বয়সের পার্থক্য ৩২

নিউজ ডেস্ক: প্রেম করে ২০ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৫২ বছর বয়সি এক শিক্ষক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিয়ে নিয়ে জোর আলোচনা। দুজনের বয়সের পার্থক্য ৩২ বছরের। তবুও তারা আগামী দিনে এক সঙ্গে পথচলার জন্য একে অপরের হাত ধরেছেন। প্রেম কি আর বয়সের গণিত মানে! পাকিস্তানের এই দম্পতির প্রেমকাহিনি ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

জোয়া নুর বি.কমের ছাত্রী। সাজিদ আলি তার শিক্ষক। পড়তে পড়তেই শিক্ষককে মন দিয়ে ফেলেন জোয়া। সাজিদের ব্যক্তিত্ব আকৃষ্ট করে তাকে। তাই বয়সের পার্থক্যকে তুড়ি মেরে প্রেমের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেন এই তরুণী।

তবে হুট করেই জোয়ার প্রেমে পড়েননি পঞ্চাশোর্ধ্ব সাজিদ। তিনি প্রথম দিকে ছাত্রীর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কিন্তু জোয়ার প্রেমের টানে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি সাজিদ। শেষমেশ তিনিও প্রেমে হাবুডুবু খান। আর তারপরই দুজনের চার হাত এক হয়। এক ইউটিউবারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেমের কাহিনি শুনিয়েছেন জোয়া সাজিদ।

জোয়া জানিয়েছেন, কলেজেই সাজিদকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন সাজিদ।আমাদের মধ্যে ৩২ বছরের পার্থক্য। আমরা বিয়ে করতে পারি না’, জোয়াকে কথা বলেছিলেন সাজিদ।

তবে মনের মানুষকে কাছে পেতে নাছোড়বান্দা মনোভাব ছিল জোয়ার। তাই প্রাথমিকভাবে তার প্রস্তাব সাজিদ ফিরিয়ে দিলেও তিনি ভেঙে পড়েননি। আবার ছাত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে সাজিদেরও কোনো গোঁড়ামি ছিল না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সাজিদ।

বিয়ের বিষয়ে দুজনের পরিবার থেকেই আপত্তি ওঠে। কিন্তু কোনো বাধাই তাদের প্রেমে পরিণতি ঠেকাতে পারেনি। বর্তমানে সুখেই সংসার করছেন তারা।

সম্পর্ক নিয়ে স্বজনদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে সাজিদ বলেন, 'অনেক আত্মীয়-স্বজন রেগে রয়েছেন। ওদের বক্তব্য, আমি এত সুদর্শন, তবুও আমি এই মেয়েটাকে বিয়ে করেছি।

 

 

আমাদের কাগজ/ইদি