আন্তর্জাতিক ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:১২

রাশিয়াকে ড্রোন দিচ্ছে ইরান

ছবি:ইন্টারনেট

ছবি:ইন্টারনেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মস্কো এবং তেহরান একটি চুক্তির অধীনে তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরো জোরদার করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ায় ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য ইরানের ডিজাইন করা ড্রোন তৈরি করা হবে। পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার কথা অস্বীকার করেছিল মস্কো ও তেহরান।

সংবাদপত্রটি শনিবার বিষয়টির সঙ্গে জড়িত তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে রাশিয়া নিজস্ব ব্যবস্থায় ইরানের ডিজাইন ব্যবহার করে ড্রোন সংযোজন করতে পারবে। যার ফলে মস্কো তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং অত্যন্ত কার্যকর ইরানি ড্রোনের অস্ত্রাগার দ্রুত প্রসারিত করতে সক্ষম হবে। চলতি মাসের শুরুতে ইরানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই পক্ষ চুক্তিটিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে তার দেশ রাশিয়াকে ‘অল্প সংখ্যক ড্রোন’ সরবরাহ করেছিল।অন্যদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অক্টোবরে জানিয়েছেন, রাশিয়ান সৈন্যদের ব্যবহৃত সমস্ত অস্ত্র রাশিয়ার দেশীয় মজুদ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে ‘আরো প্রশ্ন থাকলে তা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে করা যেতে পারে। ’

ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, রাশিয়ান বাহিনী আগস্ট থেকে ৪০০টি ইরানের তৈরি অ্যাটাক ড্রোন মোতায়েন করে ‘ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে নিরলস বিমান হামলার’ কৌশলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিস্ফোরক ভর্তি স্ব-বিস্ফোরণকারী ইউএভিগুলো ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) তৈরি করতে ডিজাইন এবং মূল উপাদান স্থানান্তর শুরু করার জন্য রাশিয়া ও ইরান দ্রুত কাজ করছে। কয়েক মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

গণমাধ্যমটি বলেছে, ইউএভি উৎপাদন চুক্তি রাশিয়াকে তার নির্ভুল-নির্দেশিত অস্ত্রের সরবরাহ বাড়াতে সক্ষম করবে। এদিকে ইরানের নেতারা বিশ্বাস করেন, তারা আরো নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারবেন, কারণ ড্রোনগুলো ইরানে সংযোজন করা হবে না।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কো ইউক্রেনে কামিকাজি ড্রোন ব্যবহার শুরুর পর ইরান থেকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। কিয়েভ জোর দিয়ে বলেছে, জেরান-২ নামে পরিচিত ড্রোনগুলো আসলে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ইউএভি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা দাবি করেছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে।

 

আমাদের কাগজ//টিএ