অর্থ ও বাণিজ্য ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০১:০৪

ভরা মৌসুমেও সবজির বাজারে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। কোন ক্রমেই যেন স্বাভাবিক করা যাচ্ছেনা নিত্যপণ্যের দাম। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বেচে থাকায় কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। 

এদিকে চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। শীতের সবজিতেও ফেরেনি স্বস্তি। শুধুমাত্র মুলা ও পেঁপের দাম কিছুটা কম। ভরা মৌসুম চললেও এই দুই পদের সবজি ছাড়া অন্য প্রায় সব সবজির দাম চড়া।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। এ নিয়ে ক্রেতাদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বাজারে সবজির দাম জানতে চাইলে খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশনের কাঁচাবাজারের বিক্রেতা শফিক মিয়া বলেন, প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা ও মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অন্যান্য শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মৌসুমি সবজি ছাড়াও অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

ওই মার্কেটের অন্যান্য দোকান ও আরও দুটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। ভরা মৌসুমেও কোনো বাজারে সবজির দাম সাধ্যের মধ্যে নেই। আবার বাজারে আসায় অনেক শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ বা তারও বেশি দামে। ফলে অনেকেই চড়া দামে প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছেন না।

সেগুনবাগিচায় বাজার করতে আসা নির্মাণশ্রমিক আজিজ মিয়ার বলেন, কয়েকজন মিলে এখানে একটি ভবনে থাকছি। নির্মাণকাজ চলছে। অতিরিক্ত দামের কারণে মাছ-মাংস তো কেনাই দায়। শীতকালীন নানা পদের সবজি খাবো, সে অবস্থাও নেই। শুধু মুলা আর পেঁপে খেয়ে চলছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন অধিকাংশ সবজি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে শিম, পটলের তুলনায় অন্য সবজির দাম বেশি। একটি বড় সাইজের ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও চালকুমড়াও বিক্রি হচ্ছে একই দামে। অন্যদিকে বরবটি, করলা, বেগুন, কচুর্মুখী, কাকরোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বাজারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকা বা আমদানি টমেটোর কেজি ১১০ থেকে ১২০, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।

এমন অস্বস্তি নিয়ে সবজির বাজার থেকে বেরিয়ে মুদি বাজারে গিয়েও কোনো সুখবর মিলছে না ক্রেতার। বরং বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। এতে সাধারণ মানুষ আরও বিপাকে পড়েছেন।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে মোটা চালের দাম না বাড়লেও বেড়েছে চিকন চালের দাম। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবি চিকন চালের কেজি ৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা এবং মোটা চালের কেজিতে ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৮ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও বাজারের খুচরা ব্যবাসয়ীরা বলছে, টিসিবির তথ্যের থেকে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।

আমেদেরকাগজ/এইচএম