ডেস্ক রিপোর্ট।।
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের সেই ‘ক্রোমসোম’ অধ্যায়ের কথা কম বেশী আমাদের সবারই মনে আছে। সেই অধ্যায় পড়েই আমরা জেনেছি নারী-পুরুষের জিনগত পার্থক্য কিসে। নারী জিন গঠিত ২টি X নিয়ে আর পুরুষ জিনে থাকে ১টি X । এই ডাবল X ক্রোমসোম জিনের জন্যই নারীরা দীর্ঘায়ু পাবার ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় বেশী সুবিধা পায়।
যুক্তরাজ্যের পুরুষরা কখনোই নারীদের চেয়ে বেশী দীর্ঘায়ু কামনা করেনা। কারণ তার জানে, জিনগত বৈচিত্রের জন্য তা সম্ভব নয়।
দীর্ঘায়ু কামনা করে না, এমন মানুষের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করেন না গবেষকরা। তাই তো তারা পুরুষদের জন্য সফল গবেষণা শেষে আবিষ্কার করেছে কিছু নিয়ম। যেগুলো মেনে চললে তারা পেতে পারেন দীর্ঘায়ু-
১. স্তন দেখুন:
স্তন দেখা দীর্ঘায়ু লাভ অন্যতম একটা পদ্ধতি হলেও নারীদের জন্য এটা খুবই বিব্রত কর। কিন্তু ২০১২ সালে প্রকাশিত আর্কাইভ অফ ইন্টার্নাল মেডিসিন নামের একটি জার্নাল দাবী করছে সুন্দর ও ইতিবাচক কিছু দেখলে পুরুষদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর এর প্রতিক্রিয়া আসে যা ইতিবাচক।
সুন্দর এবং ইতিবাচক কিছু দেখলে মনে এবং শরীরে যেরকম প্রতিক্রিয়া হয় ঠিক একই রকমের প্রতিক্রিয়া নারী স্তন দেখলে হয় বলে দাবি করেছেন জার্নালটির গবেষক জন এ্যালেগ্রেন্টের।
ইতিবাচক চিন্তা করাও মন ও শরীরের জন্য উপকারী বলছে এই গবেষণা জার্নালটি।
২. বেশী বেশী সহবাস করুন:
সহবাস করার ইচ্ছা নেই এমন পুরুষের কোন অস্তিত্ত্ব নেই। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় বেশী বেশী সহবাস করতে এবং তা যৌক্তিক কারণেই, তবে নিশ্চয় আপনি খুশি হবেন।
ইউ এস ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিসিন ও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউড অফ হেলথ এর যৌথ প্রকাশনায় একটি রিসার্চে দেখা গিয়েছে সহবাস পুরুষদের মৃত্যুহার কমিয়ে দিতে পারে ৫০ শতাংশ।
সহবাসের ফলে নির্গত হরমোনটির নাম সেরোটোনিন, যা কিনা মানুষের খুশির হরমোন নামেও পরিচিত। মানূষ যখন খুশি হয় তখনও এই হরমোন নির্গত হয়।
সহবাস মানুষের দুশ্চিন্তা কমানোর পাশাপাশি একাকিত্বতা কমিয়ে, কখনো কখনো অসুস্থতাও দূর করে।
৩. বিয়ে করুন:
বিয়ে করলেই যে পুরুষদের দীর্ঘায়ু হবে, ব্যাপারটা মোটেও তেমন না। দীর্ঘায়ু লাভের জন্য বিয়ে করতে হবে যথাপুযুক্ত সময়ে।
আমেরিকার ১,২৭,০০০ যুবকের মধ্যে একটি জরিপ করে দেখা যায়, বেশীরভাগ যুবক ২৫ বছরের পরে বিয়ে করেছে এবং ২৫ বছরের কমে বিয়ে করাদের তুলনায় তারা বেশীদিন বেঁচে আছেন।
রিসার্চে আরো বলা হয়েছে দুইজন মানুষের সম্মিলিত বসবাস স্বাস্থ্য উন্নতির কারণ হতে পারে।
৪. সন্তান নিতে দেরি নয়:
যে দম্পতি বিয়ের পর দ্রুত বাচ্চা নেয় তাদের অকাল মৃত্যুহার অবিবাহিতদের তুলনায় কম।
দ্যা জারনাল অফ ইপিডেমিওলোজি এন্ড কমুনিটী হেলথ তাদের রিসার্চ খুঁজে পেয়েছে কোন বাবা-মা যখন তাদের সন্তানকে দেখে তখন তাদের মাঝে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা জাগে। এই প্রত্যাশা বাবাদের ২ বছর বেশী বাঁচায় যেখানে মাদের ১.৫ বছর বাড়ে।
৮০ বছর বয়সী বাবা তার সন্তানের সাথে ৮মাস বেশী বেঁচে থাকার প্রত্যাশা করে যা সন্তানহীনরা পারে না।
৫. দায়িত্বশীল হতে হবে:
জার্নাল অফ পারশোনালিটি এ্যান্ড সোশাল সাইকোলোজি তাদের রিসার্চে দেখিয়েছে কিভাবে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধদের একটি গাছ দিয়ে সেটি যত্ননিয়ে বড় করা অনুশিলন করে দায়িত্বশীল বানানো হয়। যার ফলে বৃদ্ধদের মাঝে আয়ু বৃদ্ধি ঘটে।
দায়িত্বশীলতার জ্ঞান আমাদের দৈনিন্দন জীবনেও খুব প্রভাব রাখে। যার কারণে বৈবাহিক জীবনে যত তাড়াতাড়ি সন্তান নিবে তত তাড়াতাড়ি দায়িত্বশীলতা আসবে।
৬. ভুড়ি নিয়ে আর নয় লজ্জা:
ভুড়ি নিয়ে লজ্জা এবার ঝেড়্বে ফেলুন। কারণ লেখক রিচার্ড ব্রিবাইস্কাস বলেছে, ভুড়ি বাড়লে তা নারীদের কাছে বেশি আকর্ষনীয় হয়।
বেশীর ভাগ পুরুষহ মনে করেন, সন্তান নেবার পর বুঝি তাদের মেদ বা ভুড়ি বেড়ে যায়। বাড়লে বাড়ুক না! সমস্যা কিসে? এটি কখনোই খারাপ নয়।
হাউ ম্যান এইজ শিরোনামে বইটি বলছে গোলগাল ও মোটা ছেলেরা হার্ট এ্যাটাক ও প্রস্টেট ক্যান্সারের কম ঝুকিপুর্ণ।