কৃষি ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৬:২৪

ফরিদপুরে পেঁয়াজের দানা রোপন, পরিদর্শনে কৃষি কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরে দানা বা বীজ উৎপাদনের জন্য মাঠে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ রোপন চাষীদের নানা পরামর্শ দিতে ও পরিদর্শনে মাঠে গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। বুধবার, ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মাঠে দেখা যায় এমন চিত্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পেঁয়াজের পাশাপাশি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করতে মাঠ প্রস্তুত করছে কৃষক। সেখানে পেয়াজ রোপন করছে চাষীরা। সকাল থেকে দলবেঁধে শ্রমিকরা মাটিতে সেই পেঁয়াজ রোপন করে। কালো সোনা নামে খ্যাত পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন দেখতে ও নানা পরামর্শ দিতে মাঠে গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। মাটিতে পরিমাণ মত সার, ওষুধ প্রয়োগ করা, জৈব সার বেশি ব্যবহার করাসহ মাটির আদ্রতা অনুযায়ী সেচ দেবার পরামর্শ দেন তারা।

এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা, জেলার ও দেশের সফল পেয়াজ বীজ চাষী সাহিদা বেগমের পেঁয়াজ রোপন ও ক্ষেত পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ওই মাঠে রোপন করা পেঁয়াজ ক্ষেত ঘুরে দেখেন তারা।

পেয়াজের বীজ চাষী সাহিদা বেগম বলেন, তিনি এবছর ২৫একর জমিতে দানা পেঁয়াজ রোপন করছেন। এছাড়া ঠাকুরগাও জেলায় ৪০ একর জমিতে এই দানা পেঁয়াজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তারা মাঠগুলাতে পেয়াজ রোপন শেষের দিকে। এই সব জমি থেকে তিনি ৫০০ মন বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন। যদিও এ বছর পাশের দেশ থেকে বীজ আসায় তারা দাম কম পেয়েছেন। তবে আগামীতে দেশের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে তারা চাহিদা পূরণ করার আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, জেলার মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের উপযোগী। তাই ব্যাপক পরিমাণ পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয় এ জেলাতে।তাদের আধুনিক চাষ প্রণালী সম্পর্কে কৃষিবিভাগ  নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। ক্ষেত পরিদর্শন করে তাদের অবস্থা জানার চেষ্টা করে সার, ওষুধ, কীটনাশক ব্যবহার বিধিসহ কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান।

এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম হাসিবুল হাসান।

আমাদেরকাগজ/ এইচকে