আইন ও আদালত ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৩:০৯

ফের জামায়াত আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদ, ৮ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগের গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে ফের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন জানিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাকে রাখা হয় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়। 

এর আগে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার অভিযোগে জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

এরও আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাফাত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২)।

তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরীর মাধ্যমে দাওয়াতপ্রাপ্ত হন। গত ৬ নভেম্বর তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে গ্রেফতার তিনজন ডা. রাফাতসহ অন্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আমাদের কাগজ/এম টি