আইন ও আদালত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৩:১৮

মায়ের কান্নায় সাজা থেকে বাঁচলেন ছেলে,বদলে গেল বিচারকের রায় 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ আসামির জামিন শুনানি শুরু হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। দুই পক্ষের আইনজীবীরা জেরার মুখে আসামি মো. জিহাদ উদ্দিন (২২)। আদালত কক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজন। শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই সংবাদ শুনে আদালতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসামির মা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মায়ের চিৎকার শুনে পাশে থাকা অনেক লোক জড়ো হন। বিচারকের এজলাসে বসে সেই কান্নার আওয়াজ শুনে তাৎক্ষণিক আসামিকে জামিন দিয়ে দেন। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহের উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী হাতিয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জামিন পাওয়া আসামি হলো, হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খোকনের ছেলে মো. জিহাদ উদ্দিন (২২)।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহের উদ্দিন জানান, বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর জিহাদকে এক নম্বর আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় জিহাদ বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহান্মদ আনোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। পরে আদালত প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে। এ সময় তার মায়ের আর্তনাদে মানবিক দিক বিবেচনা করে জামিন দেন। এ জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবীকে তাৎক্ষণিক একটি জামিনের আবেদন করতে হয়েছে।

হাতিয়া মানবিক সংগঠন জাগ্রত দ্বীপ হাতিয়ার সভাপতি মো. আলী জানান, এ ঘটনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানতে পেরেছি। অনেকে বিচারকের এ রায়কে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন।

হাতিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন জানান, আইন তো মানুষের জন্য করা হয়েছে। মায়ের চিৎকার শুনে আদালতের মধ্যে সবার মাঝে মানবিকতা কাজ করেছে। বিচারকের এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আমাদের কাগজ/এম টি