অর্থ ও বাণিজ্য ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০১:৪৭

রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়লো

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ দেশে ডলার সংকট নিরসনে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও এক টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে এখন ১০২ টাকা করা হয়েছে।

রোববার (১ জানুয়ারি) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতানের সভায় নতুন এ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।

রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলেও প্রবাসী আয়ের দাম আগের মতো ১০৭ টাকা থাকছে। 

তবে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রপ্তানি আয়ে সর্বোচ্চ দর ছিল ৯৯ টাকা। আর রেমিট্যান্সে ধার্য করা হয় ১০৮ টাকা। সেই সঙ্গে ডলারের ৫ দিনের গড় খরচের চেয়ে ১ টাকা বেশি মূল্যে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয়। পরে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় সভায় নতুন দাম ঠিক করা হয়।

পরিপ্রেক্ষিতে এবিবি ও বাফেদার নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করেন।

এদিন সভায় উপস্থিত এক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের পার্থক্য রয়েছে। একে কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। যে কারণে ডলারের দাম আরও ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে ১০২ টাকা করে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তঃব্যাংক ডলার লেনদেন হয় সর্বনিম্ন ১০২ টাকা ৭২ পয়সায়। আর সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা পর্যন্ত। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার দাম বেড়েছে। সেসময় প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা। সে হিসাবে গত ৯ মাসে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২১ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার বা ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগের একই দিনে (২০২১ সালের ডিসেম্বর) ছিল ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশের রিজার্ভ কমেছে এক হাজার ১৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। আর এক মাসের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৬) ডলার।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করলে বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে, এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে।

আইএমএফের মানদণ্ড অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে মজুতকৃত রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং রিজার্ভ থেকে দেশীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যয় বাদ যাবে। যদিও সরকার এখন আইএমএফ এবং নিজস্ব অর্থাৎ দুই ধরনের হিসাবই রাখছে।


আমাদের কাগজ/এম টি