জাতীয় ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:২৬

ডিএনসিসি কর্মকর্তাদের বেঁধে রাখার হুমকি দিলেন পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় সড়কে নির্মাণাধীন পুলিশ বক্স খালি করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বাধায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও উচ্ছেদ না করেই ফিরে যেতে চান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় পুলিশ অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিমমুখে আড়ংয়ের বিপরীতে রাস্তার মাঝখানে একটি ছোট একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। চার রাজমিস্ত্রি ও হেলপারকে কাজ করতে দেখা গেছে। এখানে আগে একটি শেড পুলিশ বক্স ছিল, যা ভেঙে পাকা পুলিশ বক্সে রূপান্তর করা হচ্ছে। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, সারাদিন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা রাস্তায় থাকেন। তাদের পোশাক, জিনিসপত্র রাখার জন্য বাক্স তৈরি করা হচ্ছে। এখানে আগে একটি বক্স ছিল, কিন্তু ডিএনসিসি আজ হঠাৎ করে নতুন বক্স ভাঙতে এসেছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ।

তিনি বলেন, রাস্তার মাঝখানে কেউ অবৈধ একতলা ভবন নির্মাণ করছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে যাই। গত ১৫ দিন ধরে কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। ফুটপাত পরিষ্কার করলাম। প্রতিদিনের মতো আজও মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। সড়কের মাঝখানে কোনো অবৈধ ভবন করা যাবে না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ আমাদের উচ্ছেদে বাধা দেয়। তারপর আমরা চলে গেলাম।'

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'পুলিশের বাধার বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোথাও পুলিশ বক্স করতে চাইলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে জানাতে হবে। না জানিয়ে সড়কে কোনো নির্মাণ করা যাবে না।

অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সদস্যরা শুধু উচ্ছেদের কাজে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি কর্মকর্তাদের বেঁধে গ্রেফতার করে অভিযানে ব্যবহৃত ডাম্প ট্রাক ও পেলোডার জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানোর হুমকি দেন।

ডিএনসিসির ওই কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তারা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন- পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের (সিটি কর্পোরেশন) গাড়ি আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন। গাড়ি ফেলে দেওয়া হবে। এ সময় পুলিশ এসে দড়ি দিয়ে আমাদের বেঁধে দেয়।

আমাদেরকাগজ/এইচএম