মুক্তমত ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০২:২৪

ফিরে আসা জানুয়ারি, শেখ হাসিনার সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গণহত্যা  

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদন,তুষার আহম্মেদঃ তিন দশকেরও বেশি সময় আগে লালদীঘিতে একটি জনসভায় যোগ দেয়ার পথে থাকা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে নির্বিচার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।  ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। চট্টগ্রাম গণহত্যা নামে পরিচিত। জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বন্দরনগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিল। ওইদিন বেলা ১টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাকটি আদালত ভবনের দিকে আসার সময় গুলিবর্ষণ শুরু হয়।ওইদিন পুলিশের গুলিতে মোট ২৪ জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম. স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডিকে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বিকে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, মসর দত্ত, হাশেম মিয়া, মো. কাশেম, পলাশ দত্ত, আবদুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও মো. শাহাদাত। ঘটনাস্থলের অদূরেই নিহতদের স্মরণে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।

এই ঘটনার চার বছর পর ১৯৯২ সালে আইনজীবী শহীদুল হুদা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা প্রত্যেকেই পুলিশের সদস্য। 

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদীঘি ময়দানে তৎকালীন ১৫ দল আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার গাড়ীবহরে আকস্মিকভাবে হামলা চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের ব্রাশফায়ারে অসংখ্য মানুষ হতাহত হন। নিহতদের মধ্যে মাত্র ২৪ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ থাকলেও সেদিন স্বৈরশাসকের নির্দেশে সবার লাশ নগরীর বলুয়ারদীঘি মহাশ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

গত তিন দিন আগে(২৪ জানুয়ারি) বাংলার ইতিহাসের এই নির্বিচার গণহত্যা দিবস ছিল। 

আমাদের কাগজ/এমটি