ধর্ম ও জীবন ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০৯:০২

কোরআন-হাদিসের আলোকে রমজানের ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক: বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আবারো এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। শুরু হচ্ছে সংযম সাধনার মাস। খোশ আমদেদ মাহে রমজান, আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা সময়।

এই মাসের ফজিলত অনেক, আর এই ফজিলত পবিত্র কোরাআন শরীফ, হাদিস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ (আল কুরআন)

সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেই মাসকে পায় সে যেন রোজা রাখে।’

‘রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।’ (আল হাদিস)


‘ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।’ (আল হাদিস)

‘রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।’ (আল হাদিস)

‘রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।’ (আল হাদিস)

‘রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল।’ (আল হাদিস)

‘রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ।’ (আল হাদিস)

‘রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম।’ (আল হাদিস)

‘রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে।’ (আল হাদিস)

‘রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন।’ (আল হাদিস)

‘রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয়।’ (আল হাদিস)

‘রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে।’ (আল হাদিস)

‘রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে।’ (আল হাদিস)

‘রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়।’ (আল হাদিস)

‘রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরূপ।’ (আল হাদিস)

২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।


আমাদেরকাগজ/এইচএম