জাতীয় ৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:০৮

উত্তরায় আবাসিক হোস্টেল হতে ক্যাসিনো সামগ্রী 'মাহাজং' উদ্ধার!

ডেস্ক রিপোর্ট।।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চাইনিজ নাগরিক জনৈক কেন্ট এর মালিকানাধীন ঢাকার উত্তরার ১৩ নং সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউ এর হবনব কফি হাউজ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং তার বাণিজ্যিক আবাসিক হোস্টেলে (সেক্টর-১৪, রোড-১৫, হাউস-৫৬ উত্তরা) ০২ (দুই) টি ক্যাসিনোর বিখ্যাত ইলেক্ট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন- “মাহাজং” ব্যবহৃত হচ্ছে। 

এরূপ সংবাদের ভিত্তিতে আজ ০৩/১০/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব কাউছার আলম পাটওয়ারী এবং জনাব কেফায়েতউল্লাহ মজুমদার এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি গোয়েন্দা দল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে চাইনিজ নাগরিক জনাব কেন্ট এর মালিকানাধীন আবাসিক হোস্টেল হতে ০২ (দুই) টি ক্যাসিনো খেলার ইলেকট্রিক মাহাজং মেশিন উদ্ধার করা হয়। 

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চায়না হতে ২০১৮ সনের আগস্ট মাসে ২০টি কার্টনে ০৭ (সাত) সেট ক্যাসিনো খেলার  মাহাজং মেশিন আমদানি করেন। এ দপ্তরের অনুসন্ধানে আরও দেখা যায় যে, আমদানিকৃত পণ্যসমূহ তিনি বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট  বিক্রয় করেন। 

গোপন সংবাদে খবর পাওয়া যায় যে, জনাব কেন্টের মালিকানাধীন উত্তরার চাইনিজ হোস্টেল এবং হবনব কফি হাউসে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিলো, যারা গ্যম্বলিং এ মত্ত ছিলো বলে জানা যায়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে হবনব কফি হাউসে ব্যবহৃত ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিনটি আবাসিক হোস্টেলে লুকিয়ে রাখে। 

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা দল আবাসিক হোস্টেল হতে ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিনদ্বয় উদ্ধার করে। উল্লেখ্য যে, উত্তরার চাইনিজ আবাসিক হোস্টেলে মাহাজং মেশিনের মাধ্যমে গ্যম্বলিং এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আবাসিক ও সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল এবং ক্রমান্বয়ে সর্বনাশী এই মাহাজং গ্যম্বলিং বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ছিলো। সশ্লিষ্ট পণ্যচালানের অপর ক্যসিনো মাহাজং মেশিনগুলোর অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অতিসত্ত্বর ক্যসিনো মেশিনগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাস্টমস গোয়েন্দ দল তৎপর রয়েছে। 

আটককৃত ক্যাসিনো মেশিনদুটির আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আমদানি স্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ক্যাসিনো মেশিন দুটি খালাসে আনুমানিক ২,৮৫,০০০/- টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত পণ্য চালানের শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।