বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ২ আগস্ট, ২০১৯ ০৩:১২

চাঁদ অভিযাত্রায় জেফ বেজোস ও এলন মাস্ক

প্রযুক্তি ডেস্ক।।

আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, বিলিওনিয়ার জেফ বেজোস এই মূহুর্তে আমাদের নীল গ্রহের শীর্ষ ধনী। আমাজন ছাড়াও তার রয়েছে মহাকাশ যন্ত্রপাতি নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান 'ব্লু অরিজিন'। আরেকজন হলেন এলন মাস্ক। যাকে প্রযুক্তি দুনিয়ার সবচেয়ে সৃজনশীল মনের অধিকারী ব্যাক্তি ভাবা হয়। যিনি তার বৈদ্যূতিক গাড়ি টেসলা দিলে ভবিষ্যতের গাড়ির বাজার দখল করতে যাচ্ছেন। এমন কি তার মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের শরনাপন্ন হন বিভিন্ন দেশের সরকারও। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটও মহাকাশে ছুড়ে দেয় স্পেসএক্স।

স্নায়ু যুদ্ধের পর, বিশ্বব্যাপী চাঁদকে নিয়ে আবার আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে পরাশক্তিগুলোর। ভারতও চাঁদে প্রোব নামানোর জন্য শুরু করেছে চন্দ্রায়ন-২ মিশন। সেখানে মার্কিন মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা বসে থাকবে কি করে? ২০২৪ সালে চাঁদে তারা আবার মানুষ পাঠানোর যে পরিকল্পনা করেছে, তার সঙ্গে আছেন প্রযুক্তি জগতের এই দুই টাইকুনও।

ওয়াশিংটন সময় গত মঙ্গলবার নাসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবারের চন্দ্রযাত্রায় ১৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে তারা। তার মধ্যে বেজোসের ব্লু অরিজিন ও মাস্কের স্পেসএক্স রয়েছে। এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চন্দ্রযাত্রায় হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যারের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা বিনা মূল্যে নাসাকে সরবরাহ করবে। নাসার এবার চন্দ্রযাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে শিকার ও চাঁদের গ্রিক দেবীর নামে ‘আর্তেমিস’, পৌরাণিক কাহিনিমতে যিনি আবার দেবতা অ্যাপোলোর যমজ বোন। এই অ্যাপোলোর নামেই নাসার ষাট ও সত্তরের দশকে আগের চন্দ্রযাত্রাগুলো পরিচালিত হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ পদার্পণের যাত্রা অ্যাপোলো–১১।