জাতীয় ৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:৫৪

ভিন্ন মতের জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলা হবে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট।।

আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভিন্ন মতের জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলা হবে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এটি করেছে, তাদের কোনও ছাড় নেই।’

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ রয়েছে, রবিবার রাতে হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন ছাত্র আবরারকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে কথা বলেছি। কারা এবং কোন হুজুগে এই কাজটি করেছে, তা খুঁজে বের করতে বলেছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের যেন কোনও ছাড় দেওয়া না হয়, তার নির্দেশনা দিয়েছি।’

এছাড়াও  সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছেন, ‘গরম খবর চলতেই থাকবে। ১৫ দিনেই কি সব খবর পেতে চান? আমরা যা বলেছি তা শুধু মুখেই না, কাজেও দেখিয়েছি। যারা কালপ্রিট তাদের কোনও ছাড় নেই।’

একই সাথে ওবায়দুল কাদের আরো জানিয়েছেন, ‘যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের সম্মেলনও হবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৌখিক নির্দেশনা পেয়ে সংগঠনগুলোর কাছে সম্মেলন করতে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছি।’

কমিটিতে এবারও ৭২ বছরের বৃদ্ধরা পদ পাবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বয়সের বিষয়টি গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। গঠনতন্ত্র ফলো করলে বয়স নিয়ে কোনও সমস্যা থাকবে না।’

কমিটিতে এবার কোনও পরিবর্তন আছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবর্তন নির্ভর করে নেত্রীর মাইন্ড সেটের ওপর। তিনি যদি চান, তাহলে পরিবর্তন হবে। নির্দেশনা দেওয়ার আমি কেউ নই। ওপর মহল থেকে নির্দেশনা আসে, আমি সেই নির্দেশনা ফলো করি।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সঙ্গে আমাদের দলের শুদ্ধি অভিযানের কী সম্পর্ক, তা আমার বোধগম্য নয়।’

সম্রাটকে ধরতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্রাটকে ধরতে কেন দেরি হয়েছে তা র‌্যাবের ডিজি বলেছেন। সম্রাট হয়তো ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্যই কুমিল্লায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়ে। আমরা তো এনেছি, আমাদের পাওয়ার বিষয়টি অনেক বেশি। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৮ বছর পর এবং সেটি বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনা ও মোদি সরকার। সম্পর্ক ভালো থাকলে অনেক কিছু পাওয়া যায়। বৈরী সম্পর্ক থাকলে কিছুই পাওয়া যায় না। যা অতীতে হয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিস্তা চুক্তিও সম্পন্ন হবে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের ইন্টারনাল বিষয় রয়েছে। সেখানে ঐকমত্যের সমস্যা আছে। তবে এ ব্যাপারে ভারত সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।’