??????? ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৯:২২

বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রেসিডেন্সিতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্ব, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও কর্মকুশলতার উজ্জ্বল আলোয় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন কাদের। বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘শিষ্টাচার-বিহীন ও অমার্জিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ’জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতি দেশের আপামর জনগণকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত ও গর্বিত করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা শুভ-বোধসম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনগণই একটি রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান শক্তি। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন জনগণের ওপরই নির্ভর করে। জনমতকে ধারণ করেই সুসংগঠিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোলা সেলফি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে এমনটা নয়, তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি এতদিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এই সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু বাইডেন নয়, অন্য বিশ্বনেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন, যার ছবি ও সংবাদ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাঙ্খা লালন-পালন করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে। বিদেশি প্রতিনিধি ও সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাদের সরবরাহ করা বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করলে বিএনপি পুলকিত বোধ করে। বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চক্রান্ত করে। আবার যখন সত্য উন্মোচিত হয়, তখন তারা নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনে।

আমাদেরকাগজ/এইচএম