জাতীয় ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:০১

আবরারের দাফন সম্পন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট।।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায়  কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা ঈদগাঁ ময়দানে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আবরারের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। জানাজার নামাজ পড়ান গপুগ্রাম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রেজাউল করিম। 

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি গ্রামে এসে পৌঁছালে আবরারকে দেখতে মানুষের ঢল নামে। এসময় স্বজনরা আবরারের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবরার ফাহাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোড এলাকার নিজ বাড়িতে পৌঁছায়।  আবরার ফাহাদের লাশ বাড়িতে পৌঁছানোর খবর শুনে ভোর রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে থাকে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। 

আবরারের তৃতীয় জানাজা নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ভাই আবরারের লাশ কুষ্টিয়া এসে পৌঁছায়। সকাল সাড়ে ৬টায় পিটিআই রোডের নিজ বাসভবনের সামনে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থাকতেন।

আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বর্তমানে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়।