????? ? ???????? ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০১:৫৮

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ফাঁসাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার মিথ্যা মামলা, এসআইয়ের ভিন্ন বয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি শিকারের অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (এসআই)শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।

এদিকে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে খোদ ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে, গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারীতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়। 

মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

আদালতের নির্দেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভাসিয়েছেন এসআই সাজ্জাদ। তাঁর হেফাজতে থাকা এক হাজার ইয়াবা বড়ি দিয়ে ওই ছাত্রীকে বেআইনিভাবে আটক করেন তিনি। 

জানতে চাইলে তদন্ত বিভাগের কর্মকর্তা আহসানুর জানা, গতবছর কোন এক নির্দিষ্ট দিনে সাজানো মামলারসহ ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়। এই ঘটনা ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইনে মামলা করেন এসআই সাজ্জাদ। 

আহসানুর জানান, যেই নারী এসআইয়ের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হয়েছিল। সেই এসআই রোকেয়ার তার লিখিতভাবে জানান, 'ঐদিন তিনি অভিযানে যাননি, ওই ছাত্রীকেও তিনি চেনেন না'

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত পরিচালক জানান,ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জামিনে বের হওয়ার পরে তিনি অভিযোগ জানান তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এনেছেন এসআই  সাজ্জাদ। পরে আদালতে তদন্ত উঠে আসে ঐদিন কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি। 

এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে এসআই সাজ্জাদ জানান, ওই ছাত্রীর কাছ থেকে এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে বলেই তিনি মামলাটি করেন। বিষয়টি জিজ্ঞাসা বাদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক আহসানুরে বারবার তিনি এ কথাই বলেন। 

ঘটনা অস্বীকার জানিয়ে ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, এসআই সাজ্জাদের মিথ্যা মামলার কারণে চার মাস জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানান তিনি।

আমাদেরকাগজ (এমটি)