শিক্ষা ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:০৬

বুয়েটে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিরাজ করছে ভয় আর আতঙ্ক

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বুয়েটে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিরাজ করছে, ভয় আর আতঙ্ক। জানান, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অতীতেও এমন নির্যাতন সহ্য করেছে, অনেক শিক্ষার্থী। এ জন্য দায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নমনীয়তা।

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট। এর শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ নিয়ে এখন সবার আগ্রহ। এই কক্ষের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আবরার ফাহাদ।

আবরার থাকতেন ১০১১ নম্বর রুমে। এর ঠিক ওপরেই ২০১১ নম্বর কক্ষ। যেখানে জেমি নামে আবরারের এক বন্ধু মৃত্যুর আগে ডেকে নিয়েছিলেন বড়ভাইদের নির্দেশে।

আশপাশের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা জানা গেছে এই হলের ২০১১, ২০১০, ২০০৫ নম্বর কক্ষে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যারা প্রায়ই নানান অজুহাতে এসব কক্ষে নিজস্ব আদালত বসান; বিচারের নামে চলে নির্যাতন। তবে এসব নিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না।

বুয়েটে এর আগেও র‍্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় শুধুমাত্র নোটিশ ঝুলিয়ে দায় এড়াতে চেয়েছে প্রশাসন, এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

আবরার হত্যার পরে শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠলেও, নিরব ছিলেন উপাচার্য। এনিয়ে সেতুমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ, তবে উপাচার্যের একান্ত সহকারি মুঠোফোনে জানান, লালবাগের নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন, ছিলেন সুস্থ্যও।

তবে এ ধরনের নির্মমতা ও নিরবতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে টেলিফোনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবীণ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

এমন বর্বরতার জন্য ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষকদের মূল্যবোধের অভাবকে দায়ী করেছেন এ প্রবীণ অধ্যাপক।